প্রতিবেদন : বিজেপির বিরুদ্ধে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আনলেন তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার। তাঁর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনার অ্যাকাউন্টে ৪০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। ১০ কোটিরও বেশি জনধন অ্যাকাউন্টের কোনও খোঁজ নেই বলে দাবি করে তিনি কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রীকে একটি চিঠি লিখেছেন। তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেছেন।
আরও পড়ুন-থাইরয়েড ক্যানসার
বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তৃণমূল সাংসদ তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, জনধন যোজনার ৫০ কোটি অ্যাকাউন্টের মধ্যে ১০ কোটি অ্যাকাউন্ট খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গত ১১ মাস ধরে ১০ কোটি অ্যাকাউন্টের কোনও হদিশ নেই, তারপরও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী কেন নীরব রয়েছেন? প্রশ্ন জহর সরকারের। জহরের আরও প্রশ্ন, ১০ কোটি অ্যাকাউন্টে সরকারের ৪০ হাজার কোটি টাকা কি এমনি এমনিই ব্যাঙ্কে পড়ে আছে? কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী হয় বিষয়টি মেনে নিন, তা না হলে নাকচ করুন।
আরও পড়ুন-রবিহীন ফলকের রং গেরুয়া
জহর সরকার তাঁর এই পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসকে ট্যাগ করেন। সঙ্গে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রীকে লেখা চিঠির স্ক্যান কপিও জুড়ে দেন। সেই চিঠিতে তিনি লেখেন, ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে আমি অর্থমন্ত্রীকে চিঠি লিখছি। আমি তাঁর কাছ থেকে জানতে চাই, ১০ কোটিরও বেশি জনধন অ্যাকাউন্টের গ্রাহককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তা কি সঠিক? ২০২৩ সালের ২৪ জুলাই আমি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে এই প্রশ্ন করেছিলাম। পরে ২১ অগাস্ট আবারও একই প্রশ্ন করি। কিন্তু কোনও উত্তর পাইনি।
আরও পড়ুন-ম্যাক্সওয়েলের ডবল সেঞ্চুরি, বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া
এদিন চিঠিতে তিনি লেখেন, এই সরকার কি এটা মেনে নিচ্ছে যে, প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনার ৫০ কোটির মধ্যে ১০ কোটি অ্যাকাউন্ট ভুয়ো? নাকি সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করছে? তবে কি এই স্কিমের অধীনে সরকারের ৪০ হাজার কোটি টাকা অব্যবহৃত অবস্থায় ব্যাঙ্কে পড়ে রয়েছে। এতে না দেশের কল্যাণ হচ্ছে, না দেশের জনতার। গত ১১ মাস ধরে সরকার এই বিষয়ে নীরব থাকায়, ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। আমি চাই কেন্দ্রীয় সরকার স্পষ্ট কোনও বার্তা দিক।