সংবাদদাতা, মথুরাপুর : পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে আবারও বিড়ম্বনার মুখে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি প্রদ্যুৎ বৈদ্যর একটি ভাইরাল ভিডিও। যা ঘিরে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোরদার বিতর্ক। সেই ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে দলের এক সক্রিয় কর্মী রায়দিঘির বাসিন্দা নিমাই পালের বাড়িতে গিয়ে টাকা শোধ দিতে না পেরে হাতে-পায়ে ধরছেন জেলা সভাপতি।
আরও পড়ুন-প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করল সিআইডি
নিমাইয়ের বাড়িতে উপস্থিত থাকা আরও কয়েকজন ব্যক্তিকেও তিনি সমানভাবে হাতে-পায়ে ধরছেন। নিমাই পাল বর্তমানে দক্ষিণ ভারতে চিকিৎসাধীন। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি দেড় লক্ষ টাকার বেশি ধার দিয়েছিলেন প্রদ্যুৎ বৈদ্যকে। টাকার বিনিময়ে নিমাইকে দলীয় পদ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বলেও জানা যাচ্ছে। কিন্তু দলীয় পদ পাইয়ে দিতে পারেননি। সেই টাকা ফেরত নিয়ে ফেরত নিয়ে টালবাহানা চলছিল। তখন নিমাই পাল বিজেপির উচ্চ নেতৃত্বকে বিষয়টি জানান। এরপরেই প্রদ্যুৎ বৈদ্য নিমাইয়ের বাড়ি গিয়ে হাতে-পায়ে ধরেন। এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় দলের একাংশ যুক্ত বলে দাবি জেলা সভাপতির।
আরও পড়ুন-দশ লাখের বেশি বার্ধক্য ভাতা
প্রদ্যুৎ বৈদ্য ফোনে বলেন, ‘‘আমি সংবাদমাধ্যমকে কিছু বলব না। দলের উঁচুতলার নির্দেশ নেই। এই ভিডিও যে তুলে ভাইরাল করেছে, তাকে জিজ্ঞাসা করুন।’’ তবে এবিষয়ে দলের জেলা কমিটির সহসভাপতি সাথী মিত্র বলেন, ‘‘ভাইরাল যখন হয়েছে, তখন নিশ্চয়ই কিছু হয়েছে। দলের উচ্চ নেতৃত্ব এ বিষয়টিকে ভেবে দেখার অনুরোধ করব।’’ তৃণমূলের সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি বাপি হালদার সুর চড়িয়ে বলেন, ‘‘বিজেপি দলে সবই টাকা নিয়ে হয়। পদ বিক্রির জন্য টাকা নিয়েছিলেন জেলা সভাপতি। প্রকৃত তদন্ত হলে সব বেরিয়ে আসবে।’’