কিছুদিন আগেই কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীর সম্পত্তির বাড়বাড়ন্ত নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে বড় প্রশ্ন তুলছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। এক্স হ্যান্ডেলে সম্পত্তির বিবরণ চেয়ে বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরে কুণাল ঘোষ জানতে চান, “পরিসংখ্যান সত্য নাকি ভুল? ১০ লাখ কীভাবে ১০ কোটি টাকা হল? কীভাবে ১০ কোটি কমে ৩ কোটিতে এল? এটা কি জাদু?”
আরও পড়ুন-‘আমার প্রচার চাই না’ বিজয়া সম্মিলনী থেকে কেন্দ্রকে নিশানা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
এই ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাংবাদিক বৈঠক থেকে শুভেন্দু সহ বিজেপির বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, সাংসদের সম্পত্তির বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। আজ, তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং পার্থ ভৌমিক দেশের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী রামেশ্বর তেলি, বিজেপি সাংসদ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, বাঁকুড়ার সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এবং জগদম্বিকা পালের সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন করেন। মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ওরা কি ধোয়া তুলসী পাতা? ওদের বিরুদ্ধে সিবিআই, ইডি, ইনকাম ট্যাক্স তদন্ত কেন হবে না? শতকরা ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। নির্বাচন অনুযায়ী তদন্তের গতি বৃদ্ধি করা হয়, সেটা আবারও প্রমাণিত।’
আরও পড়ুন-ব্রাজিলের থেকেও বড় কার্নিভাল কলকাতায়, জেলার পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধনে রেকর্ড: মুখ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘২০১৬ থেকে ২০২১, মূলত এই সময়ের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। ওই সময় রাজ্য মন্ত্রিসভায় ছিলেন শুভেন্দুও। তাহলে তাঁকে কেন তদন্তের আওতা থেকে বাইরে রাখা হবে? নাকি বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে ঢুকে পড়েছে বলে শুভেন্দুর সাত খুন মাফ?’
এই প্রসঙ্গে পার্থ ভৌমিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘কারও বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণিত হলে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হোক। কিন্তু তদন্তের নামে দিনের পর দিন ধরে টালবাহানা আমরা বরদাস্ত করব না।’ মিডিয়া ট্রায়ালের নামে সংবাদমাধ্যম যেভাবে শাসকদলের নেতাদের ভর্ৎসনা করছে সেই নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেন তৃণমূল কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব।