KMC 134: দলের প্রতারণার জেরে প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করল বিজেপি নেত্রী

(বিজেপি শুধু লোক দেখানো সংখ্যালঘুদের কথা বলে)

Must read

তিনি কোনমতেই ভোটে দাঁড়াতে চাননি। দল একপ্রকার জোর করেই তাঁকে আসন্ন কলকাতা ভোটে (KMC Election) প্রার্থী হতে বাধ্য করেছে। নিজের পছন্দের ১৩৩ নম্বর ওয়ার্ডও পাননি তিনি। প্রার্থী করেছিল ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে। দলের স্বার্থে সেটাও মেনে নিয়েছিলেন। তারপরও পাশে কাউকে তিনি পাননি। প্রয়োজনের সময় রাজ্য কিংবা জেলা নেতৃত্ব ফোন তোলেনি। মাত্র একজনকে সঙ্গে নিয়ে জমা দিয়েছিলেন নিজের মনোনয়ন। দুর্ভাগ্যের বিষয়, স্কুটিনির দিন একা গিয়েছিলেন। দক্ষিণ কলকাতা জেলা সভাপতি শংকর সিকদার লোক পাঠাবে বলেছিলেন কিন্তু পরে আর ফোন তোলেননি। অনেক যন্ত্রনা নিয়েই নিজের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী মুমতাজ আলী (Muntah Ali)।

আরও পড়ুন-KMC 124: শোভনের সাহায্য ছাড়াই ওয়ার্ডে আমূল পরিবর্তন করেছেন রাজীব

দলের নেতাদের বিরুদ্ধে মুমতাজের স্পষ্ট অভিযোগ, “আমি ভোটে দাঁড়াতে চাইনি। আমি একজন সংখ্যালঘু মেয়ে। জোর করে ভোটে হারানোর জন্য আমাকে ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে আমাকে প্রার্থী করেছে। প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, শংকর সিকদার বলেছিলেন ১৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করবেন। সেইমতো আমি বায়োডাটা পাঠাই। কিন্তু আমাকে ঠকিয়ে সেই ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডেই প্রার্থী করা হয়।”

আরও পড়ুন-দুর্যোগ কেটে স্বাভাবিক ছন্দে উপকূল ,আলুর খেতে জমল জল ৭৫ শতাংশ, ধান চাষিদের গোলায়

তিনি আরও বলেন, “দলের স্বার্থে ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হই। একা মনোনয়ন জমা দিয়েছি। কেউ খোঁজ নেননি। কেউ ফোন তোলেননি। তাই প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করি। বিজেপি এখন নিজেদের মুখ লোকাতে শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলছে আমাকে ভয় দেখিয়ে প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করানো হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি দলের নেতাদের উদাসীনতার শিকার। তাই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি।”

আরও পড়ুন-KMC Election: পুরভোটের আগেই হার বিজেপির, দলীয় বৈঠকে স্বীকার করে নিলেন আইটি সেল প্রধান

এখানেই শেষ নয়। মুমতাজ আরও বলেন, “আমি পুরুষ নাকি মহিলা সেটাই জানে না দলের অনেক শীর্ষ নেতা-নেত্রী। আমাকে ফোন করে মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পল বলছেন, ‘মুমতাজদা আছেন?’ আমি একজন সংখ্যালঘু মহিলা। খুব কঠিন জায়গা থেকে সাহসের সঙ্গে রাজনীতি করি। বিজেপি শুধু লোক দেখানো সংখ্যালঘুদের কথা বলে। ওরা আমাকে যেভাবে অপদস্থ করেছে, তাতে বলতে বাধ্য হচ্ছি, এই দলটির সংখ্যালঘু ও মহিলাদের প্রতি নূন্যতম সহানুভূতি পর্যন্ত নেই। ভবিষ্যতে এই দলটি করবো কিনা ভাবতে হবে।”

Latest article