মুখ্যমন্ত্রী বক্তৃতার মধ্যে বিধানসভার অধিবেশন কক্ষ ত্যাগ। যাওয়ার সময় বিধায়ককে হুমকি শুভেন্দু অধিকারীর। অর্থ দফতরের সাপ্লিমেন্টারি বাজেটের জবাবি ভাষণ না শুনে অধিবেশন ত্যাগ। পরপর কদিন বিজেপি বিধায়কদের আচরণে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Bandyopadhyay)। এদিন প্রথমে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের নোটিশ গ্রহণ করলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। তিনি বলেন, বিধানসভার ইতিহাসে এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি। এইটা একটা দুর্ভাগ্যজনক। বিধায়করা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন। প্রিভিলেজ কমিটিকে ২৮ তারিখের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্পিকার (Speaker)।
আরও পড়ুন – বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব গৃহীত, হুমকির ঘটনায় আরও চাপে পড়ল অধিকারী
এরপর, বৃহস্পতিবার, অর্থ দফতরের সাপ্লিমেন্টারি বাজেটের জবাবি ভাষণ না শুনে চলে যান বিজেপি বিধায়করা। এতেই অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Bandyopadhyay)। তিনি বলেন, ”এটা গণতন্ত্রের পক্ষে বিপদজনক। আশা করি আগামী দিনে এই ধরণের আচরণ থেকে বিরত থাকবেন। অশালীন আচরণ বিরোধী দলের।”
এদিন সাপ্লিমেন্টারি বাজেটে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhatterjee) বলার সময় অনুপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়করা। এরপরেই বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Bandyopadhyay) বলেন, বিধানসভায় প্রশ্ন করে উত্তর না শোনাটা গণতন্ত্রের পক্ষে বিপদজনক। অর্থমন্ত্রীর জবাবি ভাষনের সময় বিরোধী বিধায়কদের প্রশ্ন করে চলে যাওয়ায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন তিনি।
এদিন, সকালেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের নোটিশ গ্রহণ করেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষ্ণ কল্যাণী ছাড়াও বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে স্বাধিকারভঙ্গের নোটিশ দেন বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, কালিয়াগঞ্জের সৌমেন রায় ও বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। অভিযোগ খতিয়ে দেখবে বিধানসভার প্রিভিলেজ কমিটি।