সংবাদদাতা, খড়্গপুর : কামিনী-কাঞ্চনে আসক্তির প্রতিচ্ছবি এবার দিলীপ ঘোষের খড়্গপুরে। বিজেপির মহিলা নেত্রী তৃষা চাকলাদার প্রকাশ্যেই তাঁর প্রতি দলের মণ্ডল সভাপতি সোনাদীপ ঘোষের কুপ্রস্তাব ও শারীরিক হেনস্থার বিস্ফোরক অভিযোগ জানালেন ক্যামেরার সামনে। খড়্গপুর টাউন থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন। এর আগে নির্বাচনের টিকিট দেওয়া নিয়ে দলের নেতার বিরুদ্ধে টাকা চাওয়ারও অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। এবার এল বিজেপির বিধায়ক-অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায় ও সাংসদ দিলীপ ঘোষের অনুগামী দুই গোষ্ঠীর কোন্দল। শুক্রবার দুই বিবদমান গোষ্ঠীর ঝামেলায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষপল্লি গেট চত্বর। সেখানে হিরণের কম্বল বিতরণ কর্মসূচির তদারকি করছিলেন বিজেপি নেত্রী তৃষা চাকলাদার। তাঁর দাবি, খড়্গপুর শহর উত্তর মণ্ডল সভাপতি দিলীপ-ঘনিষ্ঠ দীপসোনা ঘোষ দলবল নিয়ে এসে কর্মসূচিতে বাধা দেন।
আরও পড়ুন : বেইলি ব্রিজ উদ্বোধনে অশান্তির চেষ্টা
এর আগে তিনি অনুষ্ঠান বন্ধেরও হুমকি দেন বলে অভিযোগ। কিন্তু হিরণের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠান হয়। তিনি চলে গেলে দুই গোষ্ঠীর বিবাদ শুরু হয়। দীপসোনাদের দলবল ঘটনাস্থলে এসে তৃষা, তাঁর দাদা কুন্তল চাকলাদার, অঙ্কিত শর্মা, অভিজিৎ ভুঁইয়ার উপর চপার নিয়ে হামলা চালান বলে অভিযোগ তৃষার। রাতে দীপসোনা-সহ দলের কয়েকজনের বিরুদ্ধে খড়্গপুর টাউন থানায় অভিযোগ করেন তৃষা। তাঁর অভিযোগ, দীপসোনা ঘোষ, কুণাল সরকাররা হামলা চালিয়েছেন বিধায়কের অনুষ্ঠানে ছিলাম বলে। শারীরিকভাবে নিগ্রহ এবং খুনের চেষ্টাও হয়। দলের কর্মকর্তারা রুখে দেন বলে প্রাণে বেঁচে ফিরেছি। আগেই আমাকে কুপ্রস্তাব দেন দীপসোনা, রাজি হইনি বলে আক্রোশ ছিল। সকালে ফোনে হুমকি দিয়ে বলেন বিধায়কের অনুষ্ঠানে না যেতে। বিকেলে দলবল নিয়ে হামলা চালান। দীপসোনা বলেন, ‘সুভাষপল্লিতে কোনও দলীয় অনুষ্ঠান ছিল না। তৃষা মিথ্যে বলছেন।’ প্রসঙ্গত, হিরণ ভোটে জেতার পর থেকেই খড়্গপুরে দিলীপ ও হিরণ-অনুগামীদের লাগাতার বিবাদে গেরুয়া শিবির অস্বস্তিতে। দলের কোনও কর্মসূচিতেই দিলীপ ও হিরণকে এক সঙ্গে দেখা যায় না। বৃহস্পতিবারের ঘটনা নিয়ে হিরণের মন্তব্য, এটা সমাজবিরোধীদের কাজ। তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, ওদের দ্বন্দ্ব-বিবাদ নিয়ে বলার কিছু নেই। বিজেপিতে ভাল মানুষ থাকতে পারে না, হলফ করে বলতে পারি।