সংবাদদাতা, কোচবিহার : প্রজাদের টাকায় কোচবিহারের মহারাজারা বিরাট রাজপ্রাসাদ বানিয়ে ভোগ করতেন। একের বেশি বিয়ে করতেন। এমনকী বন্যপ্রাণী হত্যার পেছনেও অন্যতম ভূমিকা ছিল কোচবিহারের মহারাজাদের। তাঁদের শিকারের জন্যই বনের বাঘ ও হরিণের মৃত্যু হয়ে সংখ্যায় কমে গিয়েছে। কোচবিহার রাজপ্রাসাদ ঘুরে বিজেপি বিধায়কদের পাশে নিয়ে এমনই মন্তব্য করেন বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি। এই ঘটনায় ব্যাপক ক্ষোভ শুরু হয়েছে৷
আরও পড়ুন-কেন্দ্রের বঞ্চনার জন্য কাজ হারাচ্ছেন অনেকে
সুশীল মোদি কোচবিহারের ভাবাবেগকে আঘাত করেছেন বলে অভিযোগ তুলে কোচবিহারে পথে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক জানান, কোচবিহার ছাড়ার আগে ক্ষমা চাইতে হবে সুশীল মোদিকে। তা না হলে ভয়ঙ্কর আন্দোলন হবে কোচবিহারে। পাশে থেকে যাঁরা মৌন সম্মতি দিয়েছেন, জেলার দুই বিধায়ক, কাউকেই ছেড়ে কথা বলা হবে না। দলের রাজ্য মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় জানান, ধিক্কার জানাই বিজেপি নেতা সুশীল মোদিকে। কোচবিহার রাজবাড়িতে দাঁড়িয়ে আমাদের কোচবিহারের প্রজাবৎসল মহারাজাদের সম্পর্কে অবমাননাকর কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন-বেসরকারি স্কুলে ইচ্ছেমতো ফি নয়
রাজকন্যা গায়ত্রী দেবী সম্পর্কেও অপমানসূচক ইঙ্গিতবাহী মন্তব্য করেছেন। পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপি জেলা সভাপতি সুকুমার রায় ও বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে কোনও প্রতিবাদ করেননি। আসলে বিজেপি কোচবিহারের রাজঐতিহ্য নিয়ে ভন্ডামি করে এই ঘটনা তার প্রমাণ। বিজেপি নেতা সুশীল মোদিকে ক্ষমা চাইতে হবে কোচবিহারবাসীর কাছে। ধিক্কার জানাই বিজেপির এই নোংরা মানসিকতাকে।