প্রতিবেদন : পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রথম পর্বেই বিরোধীদের দশ গোল দিয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রচারে ঝড় তুলে দিয়েছেন নেতা-নেত্রীরা। বাংলা জুড়ে দলের প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করেছেন রাজ্যস্তরের ৫৮ জন নেতা-নেত্রী। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি এবার আগামী ২৭ জুন মঙ্গলবার থেকে প্রচারে নামছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওইদিন নদিয়া থেকে প্রচার শুরু করছেন তিনি।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর সভা ঘিরে উন্মাদনা কোচবিহারে, জনসভা করবেন জলপাইগুড়িতেও
এরপর বর্ধমান, বীরভূম, মালদা, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রচারে যাবেন। তাঁর প্রচারের অংশ হিসেবে অংশ হিসেবে থাকছে ৮টি রোড-শো এবং ৫টি জনসভা। জলপাইগুড়ি থেকে দক্ষিণ দিনাজপুর। বাঁকুড়া থেকে হাওড়া-হুগলি, বাংলার কোনায় কোনায় পৌঁছে গিয়েছে টিম তৃণমূল কংগ্রেস। এরই মধ্যে নন্দীগ্রামে আবারও বিজেপিতে ভাঙন। শনিবার তৃণমূল ছাত্রপরিষদের চেয়ারপার্সন জয়া দত্তর উপস্থিতিতে নন্দীগ্রাম কিসান মোর্চার সভাপতি সুব্রত জানা যোগ দিলেন তৃণমূলে। একদিকে গ্রাম বাংলায় মানুষের দরজায় দরজায় প্রচার। একইসঙ্গে রাজ্য সরকারের উন্নয়নকে সামনে রেখে ঝোড়ো প্রচার, জনসংযোগ, মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়া, তাদের অভাব-অভিযোগ শোনা। এসবই চলছে সমানতালে। বিরোধীরা যখন কুৎসা করতে টিভির পর্দায়, আদালতের দরজায় রয়েছে তখন সব ষড়যন্ত্র পিছনে ফেলে মাঠে-ময়দানে মানুষের মাঝে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সকাল থেকে রাত, দম ফেলার ফুরসত নেই তারকা প্রচারকদের। এরই মধ্যে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাঠে নামছেন সোমবার থেকে।
আরও পড়ুন-মণিপুরকে কাশ্মীর বানাতে চান? তৃণমূলের প্রশ্নে ফাঁপরে শাহ
দিনভর জনসংযোগ, প্রচারের ফাঁকেই নেতা-নেত্রীরা কখনও গ্রামে ঢুকে ক্যারম খেলেছেন। আবার কেউ মন্দির-মসজিদে গিয়ে সকলের কল্যাণে প্রার্থনা করেছেন। কেউ আবার মন্দিরের হেঁশেলে ঢুকে রান্নায় হাত লাগিয়েছেন। শনিবার মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস প্রচারে গিয়ে কোচবিহারের বাংলাদেশ সীমান্তে বামনহাটা গ্রামে (এখান থেকেই নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) যুবকদের সঙ্গে ক্যারম খেলতে শুরু করেন। তাতে উৎসাহিত গ্রামের যুবকরাও। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ পূর্ব মেদিনীপুরে প্রচার ও জনসংযোগের ফাঁকে কখনও মন্দিরে, কখনও মসজিদে ঢুকে প্রার্থনা করেন। অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন পুরুলিয়ার কাশীপুরের সোনাথলি গ্রামের কোশজুড়ি শিবমন্দিরে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি সেখানকার হেঁশেলে ঢুকে বোঁদে রান্নায় হাত লাগান।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
প্রসাদ বিলি করেন। মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদাও দক্ষিণ দিনাজপুরে প্রচারের ফাঁকে মন্দিরে পুজো দেন। জয়া দত্ত নন্দীগ্রামে প্রচারে অংশ নেওয়ার ফাঁকে মন্দিরে যান। মানুষের কাছে কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতি-বাংলার পাওনা জোর করে আটকে রাখা ও তা আদায়ে পাল্টা আন্দোলনের কথা তুলে ধরেন দলের নেতা-নেত্রীরা। একইসঙ্গে রাজ্যের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে তৃণমূল কংগ্রেসকেই যে বাংলায় প্রয়োজন তা বলেন গ্রামবাসীদের। তাঁরাও জানান, সরকারি প্রকল্পের সুবিধা তাঁরা পাচ্ছেন।