সংবাদদাতা, হুগলি : লোকসভায় বিজেপি বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে। যেভাবে তাদের কর্মীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, প্রকাশ্যে আসছে গোষ্ঠী কোন্দল তাতে একপ্রকার বিজেপি নেতারাই স্বীকার করে নিচ্ছেন যে লোকসভা ভোটে ‘পজিশন’ যেতে পারে তলানিতে। কেন্দ্রের অরাজকতা, মূল্যবৃদ্ধি, ১০০ দিনের টাকা আটকে রাখা এই কারণগুলিতে ইতিমধ্যেই সাধারণ মানুষের সমর্থন হারিয়েছে বিজেপি। বিধানসভা ভোটের ফলাফলকে ছাপিয়ে বলাগড়, পাণ্ডুয়া, সপ্তগ্রাম ও চুঁচুড়াতে পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি ও কং-বাম জোটকে যোজন দূরে পিছনে ফেলে অভাবনীয় ফল করেছে শাসক দল তৃণমূল।
আরও পড়ুন-ক্ষমতা হারানোর ভয়েই মোদিজি ইন্ডিয়া-আতঙ্কে
এই ফলাফলেই লোকসভা ভোটের আগে ঘুম উড়েছে বিজেপির। ২০১৯ সালে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে ৭টি বিধানসভার মধ্যে ৫টি বিধানসভায় লিড নিয়ে প্রায় ৭৪ হাজার ভোটে জিতে সাংসদ হন বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু লোকসভা ভোটে প্রত্যাশা জাগিয়েও মাত্র দু’বছরের মাথায় হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে মুখ থুবড়ে পড়ে গেরুয়া শিবির। হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে ৭ আসনেই জয়ী হয় তৃণমূল। এছাড়া প্রায় ৪৪ বছর বাম তথা সিপিএমের অধীনে থাকা পাণ্ডুয়ার আসন ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল। এবারের পঞ্চায়েত ভোটেও হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে কোনও পঞ্চায়েত দখলে আনতে পারেনি বিজেপি।
আরও পড়ুন-কেন্দ্র সংখ্যালঘু থেকে আবাস যোজনা টাকা আটকে রেখেছে, বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী
গত লোকসভা ভোটে বলাগড়ে তৃণমূলের থেকে প্রায় ৩৬ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিলেন লকেট। পাশের কেন্দ্র সপ্তগ্রামে ২৮ ও চুঁচুড়ায় প্রায় ২০ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিলেন। জমি আন্দোলনের আতুঁড়ঘর সিঙ্গুরেও পদ্মের প্রভাব বিস্তার হয়। চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, বিজেপি এবার লোকসভা ভোটে হারবে সেটা প্রায় নিশ্চিত। গত পাঁচ বছরে বিজেপি সাংসদকে কেউ দেখতে পায়নি। তাই পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে আবার বুথ সভাপতি বদল সব বিষয়েই নিজের দলের কাছেই বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে।