ক্ষমতা হারানোর ভয়েই মোদিজি ইন্ডিয়া-আতঙ্কে

মণিপুরের নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদে আয়োজিত এক জনসভা থেকে এভাবেই কেন্দ্রকে নিশানা করলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।

Must read

সংবাদদাতা, দুর্গাপুর : কেন্দ্রের বিজেপি-বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটকে ভয় পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে দিশাহারা হয়ে এখন তাই সবকিছুর মধ্যেই ‘ইন্ডিয়া’ দেখতে পাচ্ছেন। মণিপুরের নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদে আয়োজিত এক জনসভা থেকে এভাবেই কেন্দ্রকে নিশানা করলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।

আরও পড়ুন-কেন্দ্র সংখ্যালঘু থেকে আবাস যোজনা টাকা আটকে রেখেছে, বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী

বলেন, অতীতে বিভিন্ন সময় বিরোধীরা যখন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এককাট্টা হয়ে লড়াই করেছেন। ইতিহাস সাক্ষী, প্রতিবারই বিরোধীরাই জয় পেয়েছেন। মোদি নিশ্চিত ভাবেই জেনে গিয়েছেন, ২০২৪-এ তিনি আর প্রধানমন্ত্রী থাকছেন না। ১৯৭৭ সালে জয়প্রকাশ নারায়ণের ইন্দিরা হঠাও আন্দোলন থেকে বিরোধীদের যে জয়যাত্রা শুরু হয়েছিল, ২০০৪-এ ‘ইউনাইটেড প্রোগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স’-এর ক্ষমতাপ্রাপ্তি পর্যন্ত সেই ধারাবাহিকতা একইভাবে বজায় ছিল। সেই সহজ অঙ্কটা দেশের একজন শিশুও বুঝতে পারছে আর নরেন্দ্র মোদিরা বুঝবেন না তা কি হয়? তাই ক্ষমতা হারানোর ভূত তাঁকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে, সেই আতঙ্কেই তিনি প্রলাপ বকে ফেলছেন বলে জানান নরেন্দ্রনাথ।

আরও পড়ুন-ছাত্র-যুবরা দারুণ উৎসাহিত

উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় বলেন, ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়ার অভ্যাস যাঁদের আছে, তাঁরা মানুষের সঙ্গে কখনও প্রতারণা করেন না। মোদির ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়ার অভ্যাস নেই, তাই তিনি দেশের মানুষকে জনতা জনার্দন না ভেবে তাঁর অনুগত প্রজা ভাবেন। গণতান্ত্রিক দেশে আজ আর জমিদারি প্রথা নেই এটা তিনি বিস্মৃত হয়েছেন বলেই এতখানি স্বৈরাচারী হয়ে উঠেছেন। তাই আগামী সাধারণ নির্বাচনে মানুষ তাঁকে ক্ষমতার মসনদ থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেবেন। অন্যদের মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক বিশ্বনাথ পারিয়াল, মহিলা তৃণমূল জেলা সভানেত্রী অসীমা চক্রবর্তী প্রমুখ।

Latest article