প্রতিবেদন : নির্বাচনী বন্ড ইস্যুতে বেকায়দায় পড়ে লোকসভা ভোটের আগে সময় কেনার চক্রান্ত শুরু করল নরেন্দ্র মোদির দল। এক্ষেত্রে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে ‘ঢাল’ করল বিজেপি। ইতিমধ্যেই মোদি সরকারের আনা নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পকে সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক ঘোষণা করে তা বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। একইসঙ্গে ১৫ মার্চের মধ্যে নির্বাচনী বন্ডে লেনদেনের তথ্য নির্বাচন কমিশন মাধ্যমে প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ। বিরোধীদের অভিযোগ, সব তথ্য সামনে এলে ফাঁস হয়ে যাবে বিভিন্ন সুবিধার বিনিময়ে কীভাবে কর্পোরেট সংস্থাগুলি থেকে বিপুল টাকা একতরফাভাবে পেয়েছে কেন্দ্রের শাসক দল। লোকসভা ভোটের আগে সেই অস্বস্তি কাটাতে সময় কেনা ছাড়া গতি নেই তাদের।
আরও পড়ুন-তল্লাশির নামে আটকে রাখতে পারবে না ইডি, পাঞ্জাব–হরিয়ানা হাইকোর্টের নির্দেশ
বিজেপির এই পরিকল্পনা নিয়ে এবার সরব হয়েছে কংগ্রেস। শীর্ষ নেতৃত্বের দাবি, এটাই আশঙ্কা করা হচ্ছিল যে মরিয়া হয়ে তথ্য গোপনের চেষ্টা করবে মোদি সরকার। কারণ বিজেপির অর্থপ্রাপ্তির তথ্য প্রকাশ হয়ে গেলে লোকসভা ভোটে সবচেয়ে সমস্যায় পড়বে তারাই। তাই রাষ্ট্রায়ত্ত স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের কাছে ৪ মাস সময় বাড়ানোর আর্জি জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশেই এসবিআই এই পদক্ষেপ নিয়েছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর দাবি, প্রধামন্ত্রী মোদির ‘আসল মুখ’ আড়াল করতেই লোকসভা নির্বাচনের আগে এটিই বিজেপির শেষ প্রচেষ্টা।
আরও পড়ুন-বন্দে ভারতের খাবারে ছত্রাক, ক্ষোভ যাত্রীদের
প্রসঙ্গত, ভারতের বৃহত্তম ব্যাঙ্ককে রাজনৈতিক দলগুলির নির্বাচনী বন্ড প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তারপরই এসবিআই শীর্ষ আদলতে গিয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত সময়সীমা বৃদ্ধির আবেদন করে। স্টেট ব্যাঙ্কের যুক্তি, দাতার পরিচয় গোপন রাখা নিশ্চিত করার নিয়ম থাকাতেই নির্বাচনী বন্ডের ডিকোডিং এবং দাতা ও অনুদানের অঙ্ক মেলানো অত্যন্ত জটিল ও সময়সাপেক্ষ কাজ। পাল্টা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের প্রশ্ন, মঙ্গলবার অভিযোগ করেন, যখন বিশেষজ্ঞরা বলছেন ৪৪,৪৩৪টি স্বয়ংক্রিয় ডেটা এন্ট্রি মাত্র ২৪ ঘণ্টাতে প্রকাশ করা সম্ভব তখন ৪ মাসের সময় কেনার কৌশল কেন? এটা কি সন্দেহজনক লেনদেন লুকোনোর চেষ্টা? তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র সমাজমাধ্যমে বলেছেন, আসলে এসবিআই এবং মোদিজির ‘বন্ড’ই গুরুত্বপূর্ণ। তাই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেও নির্বাচনী বন্ড প্রকাশে এত অনীহা।