সংবাদদাতা, মালদহ : লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি। ১০০ দিনের টাকার বঞ্চনা। বাংলার মানুষকে ভাতে মারতে চাইছে বিজেপি। এরইসঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাভাগের নোংরা রাজনীতি। কিন্তু এর জবাব দেবে মানুষ। বাংলা এক ও অভিন্নই থাকবে। বৃহস্পতিবার মালদহের জনসভার মঞ্চ থেকে বিজেপিকে এভাবেই চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানালেন সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। ভাগাভাগির রাজনীতিতে বিশ্বাসী বিজেপি, উন্নয়নের নামে ধর্মীয় বিভাজন করতে চাইছে তারা। বাংলার মানুষকে ভাতে মারতে চাইছে।
আরও পড়ুন-পরিবেশকর্মীর পাশে পুরসভা
তিনি আরও বলেন, ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। বাংলা ভাগের চক্রান্ত করছে। কিন্তু যতদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন বিজেপির এই চক্রান্ত ব্যর্থ হবে বলে তিনি দাবি করেন। কেন্দ্র সরকারের জনমুখী নীতির বিরুদ্ধে মুখ খুললেই তকমা লাগিয়ে দেওয়া হয়। কখনো তাদের বলা হয় টুকরে টুকরে গ্যাং, আবার কখনো তাদের বলা হয় নকশালপন্থী। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এজেন্সির ভয় দেখিয়ে বিরোধীদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু বারবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এ নিয়ে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্মীয় জিগিরকে কাজে লাগিয়ে বিভাজন তৈরির চেষ্টা বাংলার মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে— এখনও করবে বলে দাবি সুখেন্দুবাবুর।
আরও পড়ুন-শীতের আমেজ জমিয়ে দিয়েছে কাঁথির পিঠেপুলি উৎসব
পাশাপাশি দেবাংশু ভট্টাচার্য বিজেপিকে তুলোধোনা করেন। কমরেড থেকে রামরেড বলে বিজেপিকে কটাক্ষ করেন। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির সমালোচনায় সরব হন তিনি। এ ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর জনমুখী প্রকল্পের ব্যাখ্যা করেন। রাজ্য সরকার যে প্রকল্পগুলি চালু করেছেন তার সুফল কীভাবে পাচ্ছে বাংলার মানুষ তা-ও তিনি বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন। বৃহস্পতিবার গাজোলের জনসভায় উপচে পড়েছিল তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ভিড়। প্রবল শীতকে হার মানিয়ে জনসভা জনপ্লাবনে পরিণত হয়। উপস্থিত ছিলেন মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আবদুর রহিম বক্সি, চেয়ারম্যান সমর মুখার্জি, বিধায়ক চন্দনা সরকার, প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, সভাধিপতি এটিএম রফিকুল, আইএনটি জেলা সভাপতি শুভদীপ সান্যাল, মহিলা সভানেত্রী মৃণালিনী মাইতি, ব্লক সভাপতি দীনেশ টুডু প্রমুখ।