প্রতিবেদন : রাজ্য (West Bengal) বিজেপিতে (BJP) মুষলপর্ব চলছে। প্রতিদিনই নেতা-কর্মীদের দল ছাড়া, ঝগড়ার খবর সামনে আসছে। এবার মতুয়া গড় বনগাঁয় (Bongaon) একেবারে প্রকাশ্যে চলে এল বিজেপির কোন্দল। সস্ত্রীক এক বিজেপি নেতাকে মারধরের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন চাঁদপাড়া পশ্চিম মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক-সহ ৩ বিজেপি (BJP) কর্মী। রবিবার সন্ধ্যার উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানার কালুপুরে বিজেপি কর্মী সম্মেলনে বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়কের সামনে বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অর্ণব সুর ও তাঁর স্ত্রী কালুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা লতিকা সুরকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আহত অবস্থায় ওই দু’জনই আপাতত বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে (Bongaon Mahakuma Hospital) ভর্তি। ঘটনার পর লতিকা সুর বনগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে বনগাঁ থানার পুলিশ তিনজন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে। ধৃতরা হলেন চাঁদপাড়া পশ্চিম মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক বিজয় মণ্ডল, দীনবন্ধু তরফদার ও পরিমল বিশ্বাস। ধৃতদের সোমবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। বিচারক তাঁদের একদিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠিয়েছেন। আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে ধৃতরা দাবি করেন, তাঁদেরকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। অর্ণব সুরের স্ত্রী মিথ্যা অভিযোগ করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে। অর্ণব সুর আগে বিজেপি করতেন। বর্তমানে বিজেপির সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগাযোগ নেই। মতুয়া গড়ে বিজেপির নাভিশ্বাস উঠেছে। এর আগে রবিবারই দলের বিভিন্ন সাংগঠনিক গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন বাঁকুড়ার ৪ বিজেপি বিধায়ক। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিজেপির অন্দরে যে বিদ্রোহের আগুন দেখা জ্বলে উঠেছে তার ফলে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে পারে বঙ্গ বিজেপি। ২৫ ডিসেম্বর বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বদল করে নতুন সভাপতি করা হয়েছে এবং বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত মানতে না পেরেই সাংগঠনিক গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন ওই বিধায়করা। এই বিধায়করা হলেন, বাঁকুড়ার নীলাদ্রিশেখর দানা, ওন্দার অমরনাথ শাখা, সোনামুখীর দিবাকর ঘরামি ও ইন্দাসের নির্মল ধাড়া।