প্রতিবেদন : ‘রাজনৈতিক লড়াইয়ে এঁটে উঠতে না পেরে হতাশা থেকে কেন্দ্রের ক্ষমতা ব্যবহার করে ভোট-পরবর্তী নন্দীগ্রামে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় মেতে উঠেছে বিজেপি।’ নন্দীগ্রামের সভা থেকে এমনই অভিযোগ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি সুব্রত বক্সি। তিনি আরও জানান, ‘গত বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে যাঁরা সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন, তাঁদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। সিবিআই দিয়ে গ্রেফতার করানো হচ্ছে। যাঁদের অঙ্গুলিহেলনে এ সব হচ্ছে, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তাঁদের ২০২৪-এর ভোটে নন্দীগ্রাম থেকে বিদায় দিতে হবে।’ কেন্দ্র সরকারের স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাবের বিরুদ্ধে, পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাস-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অগ্নিমূল্যের প্রতিবাদে এবং সিবিআই দিয়ে নন্দীগ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর প্রতিবাদে রবিবার বিকেলে নন্দীগ্রাম সীতানন্দ কলেজমাঠে ধিক্কার-সমাবেশ হয়। সেখানেই কথাগুলি বলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি। সমাবেশে ছিলেন সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু, সাংসদ দোলা সেন, তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী জয়া দত্ত প্রমুখ।
আরও পড়ুন : যানজট কমাতে বালাসন সেতুর পাশে সার্ভিস রোড
এদিকে ‘জঙ্গলে সকল জন্তুদের মধ্যে একটা মনের মিল থাকে, কিন্তু বিজেপিতে সেই মিলটুকুও নেই।’ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে এইভাবেই বিজেপিকে কটাক্ষ করলেন বীরভূম জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বোলপুরের বাহিরি গ্রামে এক ফুটবল প্রতিযোগিতার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এমনটাই বলেন তিনি। অনুব্রত আরও বলেন, ‘রাজ্য ও কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতারা নিজেদের মধ্যে খেয়োখেয়িতেই ব্যস্ত। তাঁদের মানুষের কাজ করার সময় কোথায়! বাংলার মানুষ সেটা বুঝে গিয়েছে। কোন্দলে জেরবার বিজেপি বাংলার বুক থেকে চিরকালের জন্য মুছে যাবে।’