প্রতিবেদন : জগদীপ ধনকড়ের স্টাইলে বিজেপি নেতার মতো আচরণ তিনি করছেন না। পরিবর্তে সি ভি আনন্দ বোস সাংবিধানিক প্রধানের মতোই আচরণ করছেন। আর তাতেই জ্বলে-পুড়ে ছারখার বিজেপি। ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়ল বিড়াল। সরাসরি বাংলার রাজ্যপালকে বিজেপির কদর্য আক্রমণ, কটাক্ষ, উপহাস। বলা হল রাজ্যপাল নাটক করছেন, রাজ্যপাল দায়িত্ব পালন করছেন না, রাজ্যপাল পর্যটক নন, রাজ্যপাল অবসরের পর বাংলায় ঘুরতে আসেননি, রাজ্যপাল পদটা ইয়ার্কি করার নয়, রাজ্যপাল জেরক্স কপি। এমনকী বিরোধী দলনেতাকে রাজ্যপালের শপথ অনুষ্ঠানে সামনে বসতে না দেওয়ার মধ্যেও রাজনীতি দেখছে বিজেপি।
আরও পড়ুন-৩১শে মালদহে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক
বিজেপির এক প্রাক্তন সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত এইসব মন্তব্য করে বাজার গরম করেছেন ভাবলে ভুল হবে। আগের রাজ্যপালকে যে দলের ক্যাডার হিসাবে ব্যবহার করেছিল বিজেপি, এবং তার পুরস্কার হিসেবেই যে তিনি দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ পেয়েছেন, তা বিজেপির কথায়-বার্তায়-ক্ষোভে-বিক্ষোভে পরিস্কার।
আরও পড়ুন-বিরক্তিকর পেটের ব্যামো
বিজেপির বক্তব্য, রাজ্যপালের সঙ্গে সরকারের মধুচন্দ্রিমা শেষ হোক। লক্ষ্য নিশ্চিতভাবে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ব্যক্তিগত আমন্ত্রণ রক্ষায় রাজ্যপালের স্ত্রী-পুত্রর যাওয়া। সহ্য হচ্ছে না বিজেপির। এমনকী বাংলা শিখতে চেয়ে রাজ্যপালের হাতেখড়িরও প্রবল সমালোচনা। বলা হয়েছে, রাজ্যে শিক্ষা নিয়ে বহু প্রশ্ন। তখন এই পদক্ষেপ মোটেই যথাযথ নয়। রাজ্যে নাকি বহু ইস্যু রয়েছে যা নিয়ে এখনই রিঅ্যাক্ট করা উচিত রাজ্যপালের। তা না করে তিনি মধুচন্দ্রিমায় মত্ত। বিজেপি সাংসদ যে এক দলবদলুর প্ররোচনায় এই বক্তব্য বলেছেন তা দলের নেতৃত্ব নিশ্চিত। সেই কারণে দলের সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, রাজ্যপাল কী বলেছেন, বা করেছেন জানার দরকার নেই। রাজভবনের দিকে তাকিয়ে আমরা রাজনীতি করি না। আমরা মাঠে নেমে রাজনীতি করি।
আরও পড়ুন-আবাস যোজনায় বাড়ল সময়সীমা
দিলীপ স্পষ্ট করে দিয়েছেন, বাংলার বিরোধী দলনেতারা এজেন্সি আর কেন্দ্রের মুখের দিকে তাকিয়ে রাজনীতি করেন। জগদীপ ধনকড় থাকাকালীন রাজভবনকে বিজেপির পার্টি অফিস বানিয়েছিলেন। আর সেই অস্ত্র ভোঁতা হয়ে যাওয়াতেই আক্রোশে ফেটে পড়েছেন তাঁর শুভানুধ্যায়ী।