সংবাদদাতা, তমলুক : পঞ্চায়েত ভোটে হেরে যাওয়ার পর মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের প্রথম সাধারণ সভায় বিজেপি সদস্যদের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টাকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করল তৃণমূল। নিমতৌড়ির জেলা পরিষদ ভবনে সভা শুরু হতেই জেলা পরিষদের বিরোধী নেতা বামদেব গুছাইত সভা করার বিরোধিতা করেন রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন চলার অজুহাত দেখিয়ে। তাঁর সঙ্গে বিজেপির সব সদস্য চিৎকার-চেঁচামেচি জুড়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার পর সভা থেকে ওয়াক আউট করেন।
আরও পড়ুন-মাইথনের নৌচালকরা তাকিয়ে শীত মরশুমের দিকে
যদিও কোরাম হওয়ায় শেষ পর্যন্ত সভা সাফল্যমণ্ডিত হয়েছে। জেলা পরিষদ সভাধিপতি উত্তম বারিক, জেলাশাসক তানবীর আবজল, সহ-সভাধিপতি সুভাষিণী কর এবং সমস্ত কর্মাধ্যক্ষ ও নির্বাচিত সদস্য, বিভিন্ন পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচিত সভাপতিরা উপস্থিত ছিলেন। আগামী দিনে জেলা জুড়ে জেলা পরিষদ কীভাবে উন্নয়ন করবে তার রূপরেখা তৈরি হয় প্রথম দিনের বৈঠকে সহমতের ভিত্তিতে। এই প্রথম বৈঠকেই ‘গদ্দার’ অধিকারীর ছবি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। নিয়ম অনুযায়ী, জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ হয়েছেন বিরোধী দলনেতা বিজেপির বামদেব গুছাইত, উপধ্যক্ষা তৃণমূলের সুমিত্রা পাত্র। দু’জনের একটাই ঘরে বিজেপি ‘গদ্দার’ অধিকারীর ছবি লাগিয়েছে বলে সভায় প্রশ্ন ওঠে। ছবি সরানোর জন্য বিজেপিকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। সভাধিপতি উত্তম বারিক বলেন, ‘‘সাধারণ সভার দিন স্থির হয়েছিল ১০ নভেম্বর। তখন বিধানসভার অধিবেশনের কোনও নোটিশ আমরা পাইনি। পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী প্রথম সাধারণ সভা হয়েছে। আর এখন সারা বাংলা জুড়েই বিজেপির কাজ হচ্ছে অভিযোগ করা। আর তৃণমূলের কাজ উন্নয়ন করা।’’
আরও পড়ুন-মণিপুর জাতিদাঙ্গা : নয়া নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট
সভায় খাদ্য-কর্মাধ্যক্ষ তমালতরু দাস মহাপাত্র বলেন, বিজেপির নির্বাচিত সদস্যরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে প্রথম সাধারণ সভা ভন্ডুলের জন্য শুরু থেকেই বিশৃঙ্খলা করেছে। সভায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য বিজেপিকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করে কাঁথি সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি পীযূষকান্তি পন্ডা বলেন, বিজেপি চায় বাংলায় বিশৃংখল পরিস্থিতি তৈরি হোক। এই জেলাতেও সেই চেষ্টা অব্যাহত। আগামী লোকসভা নির্বাচনে জেলার মানুষ ওদের যোগ্য জবাব দেবেন।জেলা পরিষদের সভা ভন্ডুলের চেষ্টা বিজেপির
সংবাদদাতা, তমলুক : পঞ্চায়েত ভোটে হেরে যাওয়ার পর মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের প্রথম সাধারণ সভায় বিজেপি সদস্যদের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টাকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করল তৃণমূল।
আরও পড়ুন-পর্যটক টানতে সুন্দরবনে চালু হচ্ছে একাধিক পরিষেবা
নিমতৌড়ির জেলা পরিষদ ভবনে সভা শুরু হতেই জেলা পরিষদের বিরোধী নেতা বামদেব গুছাইত সভা করার বিরোধিতা করেন রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন চলার অজুহাত দেখিয়ে। তাঁর সঙ্গে বিজেপির সব সদস্য চিৎকার-চেঁচামেচি জুড়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার পর সভা থেকে ওয়াক আউট করেন। যদিও কোরাম হওয়ায় শেষ পর্যন্ত সভা সাফল্যমণ্ডিত হয়েছে। জেলা পরিষদ সভাধিপতি উত্তম বারিক, জেলাশাসক তানবীর আবজল, সহ-সভাধিপতি সুভাষিণী কর এবং সমস্ত কর্মাধ্যক্ষ ও নির্বাচিত সদস্য, বিভিন্ন পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচিত সভাপতিরা উপস্থিত ছিলেন। আগামী দিনে জেলা জুড়ে জেলা পরিষদ কীভাবে উন্নয়ন করবে তার রূপরেখা তৈরি হয় প্রথম দিনের বৈঠকে সহমতের ভিত্তিতে। এই প্রথম বৈঠকেই ‘গদ্দার’ অধিকারীর ছবি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
আরও পড়ুন-বিধানসভায় ঘোষণা কৃষি বিপণন মন্ত্রীর, বাড়ছে সুফল বাংলার স্টল
নিয়ম অনুযায়ী, জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ হয়েছেন বিরোধী দলনেতা বিজেপির বামদেব গুছাইত, উপধ্যক্ষা তৃণমূলের সুমিত্রা পাত্র। দু’জনের একটাই ঘরে বিজেপি ‘গদ্দার’ অধিকারীর ছবি লাগিয়েছে বলে সভায় প্রশ্ন ওঠে। ছবি সরানোর জন্য বিজেপিকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। সভাধিপতি উত্তম বারিক বলেন, ‘‘সাধারণ সভার দিন স্থির হয়েছিল ১০ নভেম্বর। তখন বিধানসভার অধিবেশনের কোনও নোটিশ আমরা পাইনি। পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী প্রথম সাধারণ সভা হয়েছে। আর এখন সারা বাংলা জুড়েই বিজেপির কাজ হচ্ছে অভিযোগ করা। আর তৃণমূলের কাজ উন্নয়ন করা।’’ সভায় খাদ্য-কর্মাধ্যক্ষ তমালতরু দাস মহাপাত্র বলেন, বিজেপির নির্বাচিত সদস্যরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে প্রথম সাধারণ সভা ভন্ডুলের জন্য শুরু থেকেই বিশৃঙ্খলা করেছে। সভায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য বিজেপিকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করে কাঁথি সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি পীযূষকান্তি পন্ডা বলেন, বিজেপি চায় বাংলায় বিশৃংখল পরিস্থিতি তৈরি হোক। এই জেলাতেও সেই চেষ্টা অব্যাহত। আগামী লোকসভা নির্বাচনে জেলার মানুষ ওদের যোগ্য জবাব দেবেন।