নির্বাচিত সরকারকে গুরুত্বহীন করতে বিজেপির ব্লুপ্রিন্ট ফাঁস

রাজ্যপাল ইউজিসির নিয়ম সামনে রেখে নিজেকে ডিফেন্ড করার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন। কিন্তু তাতেও রাজনীতির চিঁড়ে ভিজছে না।

Must read

প্রতিবেদন : গত ৩১ অগাস্ট বিহারের রাজ্যপাল সে-রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য যে সার্কুলার দিয়েছিলেন, হুবহু সেই একই ভাষায় একই নির্দেশিকা দিয়ে বাংলার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস সার্কুলার দিয়েছেন। আর দু’ক্ষেত্রেই রাজ্য শিক্ষা দফতরকে উপেক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সার্কুলারে। নেহাত কাকতালীয় নয়। রীতিমতো পরিকল্পনা করে বিজেপির নির্দেশমতোই রাজ্যপাল এ-কাজ করেছেন। যা বিস্ময়কর ও নজিরবিহীন বললেও কম বলা হয়। আসলে শিক্ষাব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে কেন্দ্র। আর রাজ্যপাল হল তার মাধ্যম। নির্দেশনামায় বলা হয়েছে, এখন থেকে রাজ্য শিক্ষা দফতরের কোনও নির্দেশ মানার প্রয়োজন নেই।

আরও পড়ুন-ধূপগুড়িতে শেষ বেলায় প্রচারে ঝড় তৃণমূলের

যে কোনও কাজ ও সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে উপাচার্যের পরামর্শ নিতে হবে। রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তকে তুঘলকি সিদ্ধান্ত বলেই অভিহিত করছে শিক্ষামহল। সেইসঙ্গে বিজেপির নির্দেশ পালন করতে গিয়ে সমাজের সর্বস্তরে নিন্দিত হচ্ছেন বাংলার রাজ্যপাল। রাজ্য সরকারকে অন্ধকারে রাখাই শুধু নয়, একেবারে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অধিকার কায়েম করতে গিয়ে কার্যত যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করেছেন বোস।

আরও পড়ুন-আজ মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন সিমেন্ট কারখানা

রাজ্য সরকারকে সম্পূর্ণ এড়িয়ে গিয়ে এই কাজ কি করতে পারেন রাজ্যপাল? এই প্রশ্ন এখন সর্বস্তরে। রাজ্যপাল ইউজিসির নিয়ম সামনে রেখে নিজেকে ডিফেন্ড করার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন। কিন্তু তাতেও রাজনীতির চিঁড়ে ভিজছে না। আসলে তাঁর এধরনের অপ্রয়োজনীয় পদক্ষেপের পিছনে যে আসলে রাজনৈতিক অভিসন্ধি তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে জনমানসে। রাজ্যপাল হিসেবে নিজের পদমর্যাদার কথা ভুলে যে নিকৃষ্ট ভাবে খুল্লামখুল্লা বিজেপির ইচ্ছেপূরণে মাঠে নেমেছেন আনন্দ বোস, পূর্বসূরি জগদীপ ধনকড়ের কায়দায়। সকলেই জানেন দু’জনেই বিজেপির লোক।

Latest article