প্রতিবেদন : কংগ্রেস নিজের অবস্থান ঠিক রাখতে বাংলায় বিজেপির দালালি করছে। তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট কেটে বিজেপিকে সাহায্য করছে। আমরা প্রশ্ন তুলতে চাই, এই কংগ্রেস দিল্লিতে বিজেপিকে হারাতে প্রস্তুত কি না! সাগরদিঘির উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে অধীর চৌধুরির বক্তব্যের পাল্টা তোপ তৃণমূল কংগ্রেসের। সাগরদিঘিতে কংগ্রেস প্রার্থীকে সিপিএম-বিজেপি-তৃণমূল সকলে ভোট দিয়েছে, আমরা সবাই এক! অধীর চৌধুরির এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তাঁকে ও তাঁর দল কংগ্রেসকে ধুয়ে দিয়েছেন কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুন-আমেরিকাতেও নিষিদ্ধ
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁর সাফ কথা, বিড়াল ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়েছে। এরা বলছে সিপিএম-বিজেপি ভোট দিয়েছে কংগ্রেসকে। ওরা নাকি অনুঘটকের কাজ করবে! আসলে এটা এদের অশুভ আঁতাঁত। কংগ্রেসের দেউলিয়াপনা প্রকট হয়ে গিয়েছে। এরা যত বেশি এক হবে তত বেশি তৃণমূল কংগ্রেস জিতবে মানুষের ভোটে। কুণালের তোপ, বলা হচ্ছে আমরা এক। তাহলে মেনে নিন সিপিএম, কংগ্রেস আর বিজেপি এক। এই কংগ্রেস লড়াই করবে বিজেপির বিরুদ্ধে? এরা নাকি বিজেপিকে হারাবে! তৃণমূল অ-বিজেপি রাজ্যেই গিয়েছে। অ-কংগ্রেসী দল নিজেরা বিজেপিকে হারাতে পারছে না। তাই চাইছে না তৃণমূল হারাক বিজেপিকে। সোনিয়া-খাড়্গের দল এখানে বিজেপির দালালি করছে। গুজরাট, ইউপিতে নিজেরা হেরেছে। স্পষ্ট বক্তব্য, তৃণমূল কংগ্রেসের।
আরও পড়ুন-২২ গজকে মিস করছেন ঋষভ
সাগরদিঘির উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে অতি-উৎসাহী কংগ্রেস। কিন্তু অধীর চৌধুরি নিজেকে জাহির করতে গিয়ে যেভাবে বাম-কংগ্রেস-বিজোপির অশুভ আঁতাত ও ষড়যন্ত্রকে প্রকাশ করে ফেলেছেন তাতে তিন দলের গোপনে হাত মেলানো এখন ওপেন সিক্রেট। কিন্তু একদিকে রাহুল গান্ধী তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে আঙুল তুলছেন। আবার তাঁরই দলের নেতা বলছেন বাংলায় বাম-কংগ্রেস-বিজেপি এক হয়ে সাগরদিঘি উপনির্বাচনকে ‘মডেল’ হিসেবে তুলে ধরছেন। এটা আসলে বিজেপির দালালি ছাড়া আর কিছুই নয়। বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের ক্ষতি হলে জাতীয় স্তরে বিজেপির লাভ। কংগ্রেসের ওপর তলা দেখুক। যারা শূন্য পেয়েছে তারা বলছে স্থানীয় স্তরে জোট হলে তারা অণুঘটকের কাজ করবে। আসলে নিজেদের অস্তিত্বের লড়াই করতে গিয়ে শত্রুরা একজোট হচ্ছে। জগাই-মাধাই-গদাই একজোট হয়েছে। তোপ কুণাল ঘোষের।
আরও পড়ুন-স্নুকারে বিশ্বসেরা ভারত
তাঁর কথায়, একুশের নির্বাচনে যে কংগ্রেসকে মুখে ঝামে ঘষে বাড়ি পাঠিয়ে দিল, সেখানে তৃণমূলের অন্ধ বিরোধিতা থেকে কিছু জনভিত্তিহীন দল এক হয়ে নীতি বিসর্জন দিয়ে কিছু ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছে। ওরা ভাবছে ২ আর ২ যোগ করে ৪ করবে। কিন্তু আসলে ২২ হয়ে যাবে।