প্রতিবেদন : বাংলায় নগদ অর্থ পুলিশ বাজেয়াপ্ত করলেই যাঁরা ক্যানেস্তারা পেটাতে থাকেন তেলেঙ্গানা (Telangana- BJP) নিয়ে এবার তাঁরা কী বলবেন? সরকার ভাঙানোর খেলায় ৪ বিধায়ককে ২৫০ কোটির টোপ দিল দিল বিজেপি। এবং অভিযান চালিয়ে পুলিশ একটি বাড়ি থেকে নগদ ১৫ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। কী বলবেন বাংলা বিজেপির বিপ্লবী নেতারা?
আরও পড়ুন: যা-ই করুন, নিট ফল শূন্য
তেলেঙ্গানা পুলিশের দাবি, রাজ্যের শাসক দলের চার বিধায়ককে বিপুল অর্থ দিয়ে কেনার চেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি খামারবাড়ি থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। শুধু তিনজনকে আটক করাই নয়, বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১৫ কোটি টাকাও। সাইবরাবাদের পুলিশ কমিশনার স্টিফেন রবীন্দ্র বলেছেন, আমরা টিআরএস বিধায়কদের কাছ থেকে তথ্য পেয়েছি যে তাঁদের অর্থ, চুক্তি এবং পদ দিয়ে প্রলোভন দেওয়া হচ্ছে। আমরা ফার্ম হাউসে অভিযান চালাই। আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব এবং প্রলোভনের বিষয়টি তদন্ত করব। পুলিশ জানিয়েছে, সাইবরাবাদের কেএল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আজিজ নগরের একটি খামারবাড়ি থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা জব্দ করা হয়েছে। আটকদের মধ্যে একজন হায়দরাবাদের হোটেল ব্যবসায়ী রয়েছেন, যিনি একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে। তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (টিআরএস) দাবি করেছে যে বিজেপি (Telangana- BJP) তাদের চারজন বিধায়ককে কেনার চেষ্টা করেছে। অভিযোগ রয়েছে যে বিজেপি টিআরএস বিধায়ক রেগা কাঁথা রাও, গুভওয়ালা বালারাজু, বিরাম হর্ষবর্ধন রেড্ডি এবং পাইলট রোহিত রেড্ডিকে কেনার চেষ্টা করছে। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, দলবদলের নেতৃত্বদানকারীকে ১০০ কোটি টাকা এবং অন্য বিধায়কদের ৫০ কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছিল। বিধায়করা পুলিশকে জানিয়েছিলেন যে তাঁদের দল পরিবর্তনের প্রলোভন দেওয়া হচ্ছে। বিনিময়ে তাঁদের ঘুষ দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, পুলিশ এখন পর্যন্ত জানতে পেরেছে যে আটক ব্যক্তিরা জাল পরিচয়ের ভিত্তিতে হায়দরাবাদে এসেছিল। পুলিশ জানিয়েছে যে আটক ব্যক্তিরা নিজেদের হরিয়ানার ফরিদাবাদের এক পূজারি সতীশ শর্মা ওরফে রামচন্দ্র ভারতী, তিরুপতির জনৈক সাধু ডি সিমহায়াজি এবং হায়দরাবাদের একজন ব্যবসায়ী নন্দকুমার বলে পরিচয় দিয়েছে।উল্লেখ্য, গত অগাস্টে, এমন খবর ছিল যে বিজেপির এক নেতা দাবি করেছিলেন যে প্রায় ১৮ টিআরএস বিধায়ক শীঘ্রই বিজেপিতে যোগ দেবেন। যদিও তিন ব্যক্তি বিপুল টাকা সহ আটক হবার পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি বন্দি সঞ্জয় একে রাজনৈতিক নাটক বলে অভিহিত করে বলেছেন যে এই বিষয়ে সাধু ও পুরোহিতদের জড়িত করা হিন্দু ধর্মকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা।