২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের ফলাফলে ব্যাপক কারচুপি করেছিল বিজেপি। চাঞ্চল্যকর দাবি দিল্লির অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণাপত্রে। বিষয়টি সামনে আসতেই বিজেপিকে বিঁধেছেন বিরোধীরা। গবেষণাপত্রের মাধ্যমে বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির জনপ্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
আরও পড়ুন-মেক্সিকোয় ১৩১ ফুট গভীর খাদে বাস, ভারতীয় সহ মৃত ১৮
অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাপত্র অনুযায়ী, ভোটে কারচুপি করেই ২০১৯ সালে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। তা না হলে ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের ফলাফল হয়তো অন্যরকম হত। দিল্লি এনসিআর এলাকার অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক সব্যসাচী দাস প্রকাশ করেছেন তাঁর রিসার্চ পেপার। সেখানেই এমন ভয়ঙ্কর ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। বলা হয়েছে, গত লোকসভা ভোটে বিজেপির জয় একেবারেই স্বচ্ছ ও প্রশ্নাতীত নয়। রীতিমতো কারচুপি ও প্রভাব খাটিয়েই এই জয় হাসিল করেছে গেরুয়া শিবির। আর এই গবেষণাপত্র প্রকাশ্যে আসা মাত্র দেশজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন-গৌরীকুণ্ডে ভয়াবহ ধস, বন্ধ কেদারনাথ যাত্রা
‘ডেমোক্র্যাটিক ব্যাকস্লাইডিং ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’স লার্জেস্ট ডেমোক্র্যাসি’ শীর্ষক গবেষণাপত্রটির লেখক অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির সহকারী অধ্যাপক সব্যসাচী দাস। তাঁর দাবি, আমি প্রচুর তথ্য ও প্রমাণ সংগ্রহ করেছি। তার থেকেই বোঝা যাচ্ছে, কারচুপি হয়েছে। আর তা হয়েছে সেইসব আসনে, যেখানে প্রতিপক্ষের সঙ্গে বিজেপির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই আবার সংখ্যালঘু প্রভাবিত কেন্দ্র। বিভিন্ন রাজ্যের আসন চিহ্নিত করে একেবারে বুথস্তরে কারচুপি হয়েছে। ক্ষমতায় থাকার সুবাদে রীতিমতো নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে বহু কেন্দ্রের ভোট প্রক্রিয়া। এমনকী কাজে লাগানো হয়েছে পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে থাকা রাজ্যের সিভিল সার্ভিস অফিসারদেরও।
আরও পড়ুন-এনসিসি ট্রেনিং এর নামে বেধড়ক মার, ভাইরাল ভিডিও
এর ফলাফল গণতন্ত্রের ভবিষ্যতের জন্য আশঙ্কাজনক। বিষয়টি সামনে আসার পর কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের ট্যুইট, মারাত্মক অভিযোগ। এই দাবি খণ্ডন করার জন্য যদি জাতীয় নির্বাচন কমিশন বা ভারত সরকারের কোনও উত্তর থাকে, তাহলে তা অবিলম্বে এবং সবিস্তারে জানানো হোক। এই বাঙালি অধ্যাপকের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিশ্বের বহু স্কলার এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। মিশিগান স্কুল অব ইনফরমেশনের জয়জিৎ পাল কিংবা ইয়েল ইউনিভার্সিটির আহমেদ মুশফিক মোবারক, প্রত্যেকেই সমর্থন করেছেন এই গবেষণাপত্রকে। অন্যদিকে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে বলেছেন, গবেষণার নামে ভারতের নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে অর্থহীন প্রশ্ন তোলার চেষ্টা হচ্ছে।