অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগের রাতেই পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে (Blast in Bhupatinagar) ভয়াবহ বিস্ফোরণ। এই ঘটনায় তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না, তাঁর ভাই দেবকুমার মান্না এবং বিশ্বজিৎ গায়েন নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আরও ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর-২ ব্লকের ভূপতিনগর থানার অর্জুননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাড়য়াবিলা গ্রামে এই বিস্ফোরণ হয়। রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ।
আরও পড়ুন-৩১ পর্যন্ত দুয়ারে সরকার, আবাস যোজনায় কড়া
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “যেখানেই তাকাই হয়, তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণ। অথবা বিস্ফোরণের ঘটনায় তৃণমল নেতার নাম। তারাই প্রধান, তারাই পঞ্চায়েত, তারাই বিধায়ক। তারাই সমাজবিরোধী। এদের থেকে এর বেশি কিছু আশা করা যায় না।”
অন্যদিকে, ভূপতিনগর (Blast in Bhupatinagar) নিয়ে দিলীপ ঘোষের অভিযোগকে খণ্ডন করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। কুণালের কথায়, “গত কয়েকদিন ধরে বিজেপি তাণ্ডব চালিয়েছে ভূপতিনগরে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান মিহির ভৌমিককে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিষেকের সভা থেকে নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা।”
এরপরই কুণালের সংযোজন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে যারা ঘুরছে, তারাই বোম সরবরাহ করছে। আসলে এটা তৃণমূলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য একটা গভীর চক্রান্ত। NIA চেয়ে তৃণমূলের লোকেদের নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হবে। এটা বিজেপির পরিকল্পিত প্লট। যাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলকে জড়িয়ে কর্মীদের ঘরছাড়া করা যায়।”