প্রতিবেদন : অবশেষে স্কুলে শিক্ষকতার নিয়োগপত্র পেতে চলেছেন ৫১ জন চাকরিপ্রার্থী। বুধবার, ১১ জানুয়ারি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (Board of Secondary Education) পক্ষ থেকে তাঁদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হবে। ওইদিন বেলা ১১টায় তাঁদের পর্ষদের কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে। সঙ্গে রাখতে হবে সুপারিশপত্র, গ্র্যাজুয়েশনের সার্টিফিকেট ও মার্কশিটের কপি, বিএডের মার্কশিট ও সার্টিফিকেটের কপি, জন্মের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, অ্যাডমিট কার্ড, ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ড, কাস্ট সার্টিফিকেট থাকলে তার কপি এবং ২ কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি। অযোগ্যদের জায়গায় ৬৫ জনকে নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু ইতিমধ্যে ১৪ জন কলেজ এবং অন্যত্র অপেক্ষাকৃত উচ্চ পদে চাকরি পেয়েছেন। তাই তাঁরা স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি নিচ্ছেন না। ধর্মতলায় সাড়ে ৬০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে অবস্থান চালিয়ে আসছেন চাকরিপ্রার্থীরা। এই নিয়োগপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্তে তাঁরা খুশি।
আরও পড়ুন-৪৪টি অঞ্চলে হবে কর্মসূচি, বাড়ি বাড়ি পৌঁছবেন দিদির দূতেরাও
একই সঙ্গে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আরও কয়েক দফার ইন্টারভিউয়ের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মঙ্গলবার দ্বিতীয় পর্বে কলকাতার স্কুলগুলিতে নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি অন্য জেলাগুলিতেও নিয়োগের ব্যাপারে তৎপরতা শুরু করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এক বিজ্ঞপ্তিতে আরও ৬টি জেলায় ইন্টারভিউ নেওয়ার কথা জানিয়েছে পর্ষদ। এই জেলাগুলি হল, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর এবং কোচবিহার। পর্ষদ জানিয়েছে, আগামী ১৬ জানুয়ারি পশ্চিম বর্ধমান এবং ১৭ ও ১৮ জানুয়ারি পশ্চিম মেদিনীপুরের চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ নেওয়া হবে। জলপাইগুড়ি জেলার জন্য যাঁরা আবেদন জানিয়েছেন, তাঁদের ইন্টারভিউ হবে ২৪ জানুয়ারি। ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি উত্তর দিনাজপুর এবং ৩০, ৩১ জানুয়ারি ও পয়লা ফেব্রুয়ারি কোচবিহার জেলার জন্য ইন্টারভিউ নেওয়া হবে। বাঁকুড়া জেলার চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ হবে ৭,৮,৯ ও ১০ ফেব্রুয়ারি। এই ৬টি জেলার সঙ্গে আরও তিনটি জেলা অর্থাৎ মোট ৯টি জেলার ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই শেষ করতে চাইছে পর্ষদ।