অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকার গর্ভপাতের আর্জি খারিজ হাইকোর্টের

এই পরিস্থিতিতে যদি গর্ভপাত করা হয়, তাহলে ভূমিষ্ঠ সন্তানের মধ্যে প্রাণের অস্তিত্ব দেখা যাবে। কিন্তু একা বেঁচে থাকা সম্ভব নয়।

Must read

আইন অনুযায়ী, ২০ সপ্তাহের পরে গর্ভপাতের (Abortion) জন্য আদালতের অনুমতি আবশ্যক। যদি গর্ভস্থ সন্তানের কারণে জীবনের ঝুঁকি থাকে তাহলে ২০ সপ্তাহের পরও গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হতে পারে। কিন্তু এই ঘটনায় কিশোরীকে গর্ভপাতের অনুমতি দেয়নি হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন-মুম্বইয়ের স্টুডিয়োতে আত্মহত্যা আর্ট ডিরেক্টর নীতীন দেশাইয়ের

বম্বে হাইকোর্টের ঔরঙ্গাবাদ বেঞ্চ এবার সতেরো বছরের এক কিশোরীর গর্ভপাতের আর্জি খারিজ করে দিল। ২৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন কিশোরী। কিন্তু তাকে গর্ভপাতের অনুমতি দেয়নি হাইকোর্ট। উচ্চ আদালত মনে করেছে পারস্পরিক সম্মতির ওপর ভিত্তি করেই কিশোরী সম্পর্কে জড়িয়েছেন। তারপর থেকে একাধিকবার বেশ কয়েকবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন তারা। তিনি যে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন, সেটা তিনি ভালোভাবে জানতেন। যদি তিনি গর্ভপাত করতে চাইতেন, তাহলে সেই সময় অনুমতি চাইতে পারতেন। সেই এই অবস্থায় গর্ভপাত করা যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছে হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন-বাংলায় ১০০০ কোটি বিনিয়োগ করতে চলেছে পিয়ারলেস

গত ২৬ জুলাই বিচারপতি রবীন্দ্র ঘুগে এবং বিচারপতি ওয়াই জি খোবরাগাঢ়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই বিষয়ে জানিয়েছে, জুলাইয়ে কিশোরীর বয়স ১৮ হয়ে যাবে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে সে এক কিশোরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তারা একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন। এই ফেব্রুয়ারিতে কিশোরী নিজে প্রেগন্যান্সি কিট এনে জানতে পারেন যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা।

মায়ের মাধ্যমে দাখিল করা পিটিশনে কিশোরী দাবি করেন, পকসো আইনে যে ‘শিশু’-র অর্থ ব্যাখ্যা করা হয়েছে, সেই অনুযায়ী তিনি শিশু। তাই গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হোক। এছাড়া, কিশোরী যদি সন্তানের জন্ম দেন, তাহলে তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। পড়াশোনা করে তিনি চিকিৎসক হতে চান।

আরও পড়ুন-লারার মাঠে হার্দিকদের দাপট

কিন্তু তার সেই আর্জি ধোপে টেকেনি। হাইকোর্ট জানিয়েছে, ‘সেই পরিস্থিতিতে পুরো বিষয়টি বিবেচনা করে মনে হচ্ছে, আবেদনকারী কিশোরী (অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী) যে কিছু জানতেন না, সেটা মোটেও নয়। বরং কী হচ্ছে, সেটা বোঝার মতো পুরো ক্ষমত ছিল তাঁর।

আরও পড়ুন-বিদ্বেষের বুলিতে বুলেটে ঝাঁঝরা ভারত, বাঁচাতে পাশে নিন INDIA কে

প্রসঙ্গত, হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে, সেটা মেডিক্যাল রিপোর্টের ভিত্তিতে। মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভ্রূণে কোনওরকম জটিলতা ধরা পড়েনি। ভ্রূণের বৃদ্ধি স্বাভাবিক হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে যদি গর্ভপাত করা হয়, তাহলে ভূমিষ্ঠ সন্তানের মধ্যে প্রাণের অস্তিত্ব দেখা যাবে। কিন্তু একা বেঁচে থাকা সম্ভব নয়।

 

Latest article