প্রতিবেদন : ব্রিটেনের শাসকদল কনজারভেটিভ পার্টির অন্দরেও তুঙ্গে উঠল গোষ্ঠী কোন্দল। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন বরিস জনসন (Boris Johnson) মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। সূত্রের খবর, ঋষিকে কিছুতেই প্রধানমন্ত্রী পদে মেনে নিতে রাজি নন বরিস। তিনি তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে স্পষ্ট বলেছেন, আর যে কেউ প্রধানমন্ত্রী হোক না কেন, ঋষি যেন কোনওভাবেই প্রধানমন্ত্রী হতে না পারেন। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই ক্রিস পিনচার ইস্যুতে দলের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়েন বরিস। প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকার সমালোচনা করে মন্ত্রিসভা থেকে প্রথম ইস্তফা দেন অর্থমন্ত্রী ঋষি। তারপরই একে একে মন্ত্রিসভার প্রায় ৫০ জন সদস্য ইস্তফা দেন। এরপরই প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন বরিস।
আরও পড়ুন: দেশের জাতীয় প্রতীকে বিকৃতি যাচাইয়ের দাবি
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বরিসের (Boris Johnson) ধারণা ঋষির (Rishi Sunak) জন্যই তাঁকে সরে দাঁড়াতে হয়েছে। সে কারণেই ঋষির উপর তাঁর এত ক্ষোভ। ঋষিকে প্রধানমন্ত্রীর পদে না চাইলেও, পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি কাকে দেখতে চান সে বিষয়েও কোনও কথা বলেননি বরিস। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদেশ সচিব লিজা ট্রুস প্রথম পছন্দ। দ্বিতীয় পছন্দের তালিকায় রয়েছেন পেনি মর্ডান্ট। যদিও প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে মর্ড্যান্ট ও লিজা ঋষির তুলনায় অনেক পিছিয়ে যথাক্রমে দুই ও তিন নম্বর স্থানে রয়েছেন। বরিস ও ঋষির এই দ্বন্দ্বে কনজারভেটিভ দলের মধ্যেও আড়াআড়ি বিভাজন ঘটেছে। এখন দেখার শেষ হাসি কে হাসেন। ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের বিষয়টি ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই চূড়ান্ত হয়ে যাবে।