সর্বভারতীয় ইউপিএসসি ১৪ স্থান পেয়ে নজির জঙ্গলমহলের ছেলের

২০১০ সালে ঝাড়গ্রাম বাণীতীর্থ হাইস্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করে ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজে ফিজিক্স নিয়ে ভর্তি হন।

Must read

সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম : জঙ্গলমহলের ছেলে এবার সাফল্য পেলেন সর্বভারতীয় চাকরির পরীক্ষায়। ইউপিএসসি পরীক্ষায় অ্যাসিস্ট্যান্ট জিওফিক্সিজ পদে চাকরির চূড়ান্ত মেধাতালিকায় দেশে ১৪তম স্থান অর্জন করেছেন ঝাড়গ্রামের চাঁদাবিলা গ্রামের মেধাবী ছেলে মানস মাহাত। ২৩ ফেব্রুয়ারি মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়। তাঁর এই সাফল্যে খুশি ঝাড়গ্রামবাসীও।

আরও পড়ুন-সন্দেশখালি নিয়ে অপপ্রচার বন্ধ হোক

মানস বলেন, ‘আমার বাড়িতে প্রচুর বই আছে। বই পড়ে এই বিষয়ে দক্ষ হয়েছি। বইয়ের বিকল্প নেই। শুধুমাত্র বই এবং ইন্টারনেটের সাহায্যে অ্যাসিস্ট্যান্ট জিওফিক্সিজ পদে উত্তীর্ণ হয়েছি। মাত্র দু’নম্বরের জন্য জিওসায়েন্টিস্ট পদ পাইনি। আশা করি ওখানে ওয়েটিং লিস্টে থাকব।’ এর আগে তিনি সিএসআর নেট এবং রাজ্যের সেট পরীক্ষাতেও উত্তীর্ণ হন। মানসের বাড়িতে রয়েছেন খাদ্য দফতরের ফুড ইন্সপেক্টর পদ থেকে অবসর নেওয়া বাবা চুনারাম মাহাত ও মা গন্ধেশ্বরী মাহাত। এঁদের তিন ছেলের মধ্যে ছোট মানস। মানস ২০০৮ সালে চাঁদাবিলা এসসি হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন। ২০১০ সালে ঝাড়গ্রাম বাণীতীর্থ হাইস্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করে ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজে ফিজিক্স নিয়ে ভর্তি হন। ২০১৩-য় গ্র্যাজুয়েশন করে খড়গপুর আইআইটি-তে এমএসসি-তে ভর্তির সুযোগ পান। ২০১৯ সালে প্রত্যন্ত চাঁদাবিলা গ্রামে ফিরে আসেন মানস। শুরু করেন চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি। শনিবার বিকেলে তাঁর বাড়ি গিয়ে জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সুমন সাহু পুষ্পস্তবক দিয়ে সংবর্ধনা জানান। তিনি বলেন, ‘প্রত্যন্ত এলাকা থেকে যে সর্বভারতীয় পরীক্ষায় পাশ করা যায় তার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন মানস।’

Latest article