বিহারের (Bihar) নওয়াদাতে রাস্তার ধারে ছুরি দিয়ে এক ব্যক্তিকে ৩০ বার আঘাত করা হয়েছে। ঘটনার পরেই পরপরই তিনি মারা যান। সম্পূর্ণ ঘটনাটি একটি সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে। সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, ঘটনার ওপর ভিত্তি করে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। নিহতের নাম রাহুল কুমার, বয়স ২০ বছর। শিব নগরের বাসিন্দা বাসুদেবের একমাত্র ছেলে এই রাহুল। পুলিশ জানিয়েছে, বারাণসীতে বসবাসকারী ছাত্র রাহুল ছট পূজা উদযাপনের পর থেকে নিজের শহরে ছিল। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে অভিযুক্ত প্রথমে ছেলেটির চোখে লাল মরিচের গুঁড়ো ছুড়ে দেয় এবং তারপর তাকে ছুরি দিয়ে নির্মমভাবে আক্রমণ করে।
আরও পড়ুন-জনজোয়ার যাত্রার সুফল, রসুলপুর নদীর উপর হচ্ছে সেতু নির্মাণ
প্রকাশ্য দিবালোকে ছেলেটিকে রাস্তার কোণে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর তার শরীরে অস্ত্র দিয়ে বিদ্ধ করা হয়। এদিকে, ঘটনার সময় বেশ কয়েকজন পথচারী এবং যানবাহন পাশে দেখা যায়। পরে, লাশ বহন করার জন্য একটি ই-রিকশার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এদিকে, পুলিশ অভিযুক্তকে শনাক্ত করতে কাছাকাছি সিসিটিভি ক্যামেরা স্ক্যান করছিল। একজন মধ্যবয়সী ব্যক্তি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলেই মনে করছে পুলিশ। ঘটনার বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে, নওয়াদা পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট, অজয় প্রসাদ বলেছেন, “২০ বছর বয়সী রাহুল কুমারকে এক ব্যক্তি ছুরি দিয়ে আক্রমণ করেছিল। আশেপাশের প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, তার বয়স আনুমানিক ৩৫ থেকে ৪০ বছর। নিহতের মা মুঙ্গেরের একজন জেল কর্মচারী। পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে, বিস্তারিত তদন্ত করছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তি শনাক্ত হলেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আরও পড়ুন-‘চিঠি দিয়ে সময় চেয়েছি’ বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে কেন্দ্রকে নিশা.না মুখ্যমন্ত্রীর
নিহতের পরিবার জানায়, রাহুল একটি ফোন পেয়েছিল তার পরে সে ওই ঘটনাস্থলে যান। এরপরেই তার মৃত্যুসংবাদ আসে। রাহুল এক মহিলা কনস্টেবলের পুত্র হিসেবে পরিচিত। এই ক্ষেত্রে অন্য কোন ঘটনা আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।