জনজোয়ার যাত্রার সুফল, রসুলপুর নদীর উপর হচ্ছে সেতু নির্মাণ

এই দুই বিধানসভা এলাকার এমন গুরুত্বপূর্ণ দাবিকে এতদিন ‘অধিকারীরা’ বিশেষ পাত্তা দেয়নি বলে এলাকাবাসীদের অভিযোগ।

Must read

অবশেষে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) জনজোয়ার যাত্রার সুফল পেতে চলেছেন খেজুরি ও নন্দীগ্রামের (Nandigram) মানুষজন। যাতায়াতের সুবিধার জন্য এবং এলাকার অর্থনৈতিক বিকাশের কারণে রসুলপুর নদীর উপর সেতু নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিন ধরে করে আসছিলেন খেজুরি ও নন্দীগ্রামের বাসিন্দারা। সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে খেজুরি ও নন্দীগ্রামের সেই স্বপ্ন এবার সফল হওয়ার পথে। এই দুই বিধানসভা এলাকার এমন গুরুত্বপূর্ণ দাবিকে এতদিন ‘অধিকারীরা’ বিশেষ পাত্তা দেয়নি বলে এলাকাবাসীদের অভিযোগ।

আরও পড়ুন-গুজরাটে দেড় বছর ধরে চলল ভু.য়ো টোল প্লাজা

চলতি বছরে গত ৩১ মে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথিতে নবজোয়ার যাত্রায় এসেছিলেন। সেই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে রসুলপুর নদী পেরিয়ে খেজুরির বোগায় গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি মৎস্যজীবিদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। মৎস্যজীবীরা তাঁর কাছে রসুলপুর নদীর উপর ব্রীজ নির্মানের দাবী জানিয়ে ছিলেন। মৎস্যজীবীরা অভিযোগ করেছিলেন- অধিকারীদের এই দাবি নিয়ে বারবার বলা সত্ত্বেও তারা কর্ণপাত করেনি। অথচ রসুলপুর এবং বোগার মধ্যে ব্রীজ নির্মাণ হলে খেজুরী ও নন্দীগ্রামের মানুষের অনেক সুবিধা হত। এলাকার মানুষকে ৬০ কিমি ঘুরে হেড়িয়া হয়ে কাঁথি শহরে বা কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল বা আদালতে যেতে হত না। মৎস্যজীবী সহ ব্যবসায়ীদের সুবিধা হতো। মৎস্যজীবীদের ক্ষোভ বুঝতে পেরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রসুলপুর নদীতে ব্রীজ নির্মানের জন্য সচেষ্ট হবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন-গড়িয়া-বিমানবন্দর রুটে কৈখালির কাছে ধস, মেট্রোর কাজে বিপত্তি

সেই মতো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর একান্ত প্রচেষ্টায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের ইঞ্জিনিয়ার এবং নদীর দু’দিকের দুটি ব্লক দেশপ্রাণ ও খেজুরী- ২ ব্লকের বিডিও কিছুদিন আগে সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শন করেছেন। শুধু ব্রীজ নির্মান নয়, রসুলপুর এবং বোগায় দুটি বাসস্ট্যাণ্ড নির্মান করা হবে। স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির নেতৃত্ব সহ তৃণমূল নেতৃত্বের আশা, আগামী এপ্রিল মাসে দিঘাতে জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন করতে এলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রসুলপুর নদীতে ব্রীজ সহ বাসস্ট্যাণ্ড নির্মাণের শিলান্যাস করবেন। উল্লেখ্য দীর্ঘকাল ধরে রসুলপুর নদীতে খেয়া পারাপার চলে আসছে। আগে ডিঙ্গি ছিল খেয়া পারাপারের মাধ্যম। পরবর্তীতে ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও লঞ্চ ফেরী সার্ভিসে লাগানো হয়। দু’দিকে নতুন জেটি নির্মান করা হয়েছে। এই ঘাট থেকে সাগরদ্বীপের মায়া গোয়ালিনী পর্যন্ত লঞ্চ সার্ভিস রয়েছে। সব দিক দিয়ে রসুলপুর ঘাট গুরুত্বপূর্ন একটি ঘাট।

আরও পড়ুন-‘চিঠি দিয়ে সময় চেয়েছি’ বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে কেন্দ্রকে নিশা.না মুখ্যমন্ত্রীর

উল্লেখ্য কাঁথির প্রাক্তন ও প্রয়াত সাংসদ ডঃ নীতিশ সেনগুপ্ত রসুলপুর নদীতে ব্রীজ নির্মানের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ব্রীজ নির্মাণের কিছু টেকনিক্যাল সমস্যাব কারনে ভেসেল সার্ভিস চালু করার পরিকল্পন করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি। শেষ পর্যন্ত সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর সৌজন্যে সেই স্বপ্ন সফল হতে চলায় বেজায় খুশি খেজুরি ও নন্দীগ্রামের বাসিন্দারা। খেজুরি ২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি শ্যামল মিশ্র বলেন, “ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিলে তা যে কোন মূল্যে রক্ষা করেন। খেজুরির এই ঘটনায় তা আরও একবার প্রমাণিত হল। আমরা সাংসদকে এর জন্য কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”

Latest article