নয়াদিল্লি : ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধ তীব্র আকার নেওয়ার পর বিজেপি নেতারা দেশজুড়ে চিনা সামগ্রী বয়কটের ডাক দিয়ে দাপিয়ে বেড়িয়েছিলেন। অথচ বাস্তবটা সম্পূর্ণ অন্য। কেন্দ্রীয় সরকার প্রচারে চিনা পণ্য বয়কটের ডাক দিলেও বাস্তব হল, প্রতিবেশী এই দেশ থেকে ভারতে আমদানি সমানে বেড়েই চলেছে। অবশ্য বিজেপি নেতাদের সামান্য সান্ত্বনা এটুকুই যে নামমাত্র বেড়েছে রফতানিও। তবে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যে ফারাকটা অনেকটাই বেশি।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রের বাজেটে চা-বলয়ে হতাশা
বুধবার লোকসভায় এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অনুপ্রিয়া প্যাটেল স্বীকার করে নিয়েছেন, চিনা পণ্য অবাধে আমদানি হয়েই চলেছে। তিনি জানান, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর মাসের মধ্যে চিন থেকে ভারতে আমদানির পরিমাণ ৫২১৬ কোটি ডলার। আর ২০২১ সালে ওই একই সময়ে চিন থেকে আমদানির পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ৭৮৮৮ কোটি ডলার। আর ভারত থেকে চিনে রফতানি? মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ এবং ২০২১ সালের ওই একই সময়ে ভারত প্রতিবেশী দেশটিতে রফতানি করেছে যথাক্রমে, ১৭৩৩ কোটি ডলার ও ২১৫৪ কোটি ডলার। চিনে ভারতের রফতানি ২০২১ সালে ২৪ শতাংশ বেড়েছে।
আরও পড়ুন-সরস্বতী পুজোতে জমজমাট থিমের লড়াই
যদিও মন্ত্রীর দেওয়া তথ্যে চিন থেকে আমদানি বৃদ্ধির শতকরা হিসেব দেওয়া হয়নি। মন্ত্রী তাঁর লিখিত জবাবে জানিয়েছেন, চিন থেকে আমদানির প্রধান আইটেম হল টেলিকম যন্ত্রপাতি, কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সামগ্রী, সার, ইলেকট্রনিক উপাদান, জৈব রাসায়নিক পণ্য, ওষুধ, কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল মেশিনারি ইত্যাদি। চিন থেকে ভারতে উল্লেখযোগ্যভাবে বিভিন্ন ওষুধের উপকরণ আমদানি হয়। ভারতীয় ফার্মা শিল্প কাঁচামাল সরবরাহের জন্য এখনও ব্যাপকভাবে চিনের উপর নির্ভরশীল। কেন্দ্রের পেশ করা তথ্যেও তা প্রতিফলিত।