রাজ্যে মিড ডে মিলের দুর্নীতির অভিযোগের পাল্টা প্রতিক্রিয়া ব্রাত্য বসুর

পর্যবেক্ষক দলের প্রতিনিধিরা মিড ডে মিলের কিচেন, রান্নার সামগ্রী পরীক্ষা করা হয়। চাল-এবং সবজির মূল্য-পরিমাণ দেখেন ।

Must read

মিড ডে মিল (Mid Day Meal) নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে কেন্দ্র। শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করে বলা হয় গতবছর মাত্র ছয় মাসেই অন্তত ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মিড ডে মিলে। গত জানুয়ারি মাসে মিড ডে মিল প্রকল্পের পর্যবেক্ষণে একটি জয়েন্ট রিভিউ মিশন করা হয়। রিভিউ মিশনে অনেক গরমিল পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি তাদের। শিক্ষা মন্ত্রকের প্যানেলের তরফে এমনটাই জানানো হয়।

আরও পড়ুন-পাঞ্জাবের ভাটিন্ডা মিলিটারি স্টেশনে গুলি, নিহত চার

জানা গিয়েছে কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক দল রাজ্যে এসে মিড ডে মিল প্রকল্পের যাবতীয় পরিকাঠামো, পরিষেবা প্রদানকারী এজেন্সি, রাজ্য-জেলা এবং ব্লক স্তরের সমস্ত বিষয়, সরকারের তরফে স্কুলগুলিকে দেওয়া অর্থ খতিয়ে দেখেন। পর্যবেক্ষক দলের প্রতিনিধিরা মিড ডে মিলের কিচেন, রান্নার সামগ্রী পরীক্ষা করা হয়। চাল-এবং সবজির মূল্য-পরিমাণ দেখেন । মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবারের সামগ্রী মিড ডে মিলে ব্যবহার হচ্ছে কি না, সেটাও পর্যবেক্ষক দল দেখেছে ।

আরও পড়ুন-রাজ্যের বেকারদের জন্য বড় সিদ্ধান্ত নবান্নের

প্রসঙ্গত আগেই কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের এই প্যানেলের রিপোর্ট জমা করার পদ্ধতি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আপত্তি করেছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন রাজ্য সরকারকে না জানিয়েই মিড ডে মিল নিয়ে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। এরপর আজ ব্রাত্য বসু টুইট করে জানান ‘ মিড ডে মিল নিয়ে কেন্দ্রে দ্বিচারী মনোভাব। প্রাথমিকভাবে আমার প্রতিক্রিয়া হচ্ছে যে এই জে আর এম রাজ্য সরকারের একমাত্র প্রতিনিধি রাজ্য অধিকর্তা, কুক মিড ডে মিলে সই ছাড়াই এই রিপোর্টটি জমা দিয়েছে। সেই রিপোর্টটি যদি রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিকে দেখানো পর্যন্ত না হয়, তাহলে জয়েন্ট রিভিউ মিশন অর্থাৎ যৌথ পর্যালোচনা কমিটির যৌথতা কোথায়? কাজেই এটা তো পরিষ্কার যে রাজ্য সরকারের বক্তব্য ওই রিপোর্টে যথাযথ ভাবে স্থান পায়নি। বিদ্যালয় শিক্ষা বিভাগ সেই মর্মে প্রতিবাদ করে একটি চিঠি ওই কমিটির চেয়ারপারসন কে দিয়েছে, যার জবাব আজ পর্যন্ত আমরা পাইনি। এই লুকোচুরি খেলার উদ্দেশ্য কি,যদি না কেন্দ্রের মধ্যে কোন অভিসন্ধি থাকে?এখন প্রেস রিপোর্ট থেকে যা দেখছি,এখানে প্রচুর তথ্য এবং সংখ্যা আছে যা যাচাই না করে প্রতিক্রিয়া দেওয়া কার্যত অসম্ভব। দ্বিতীয় তো এটাও দেখা প্রয়োজন যে জেআরএম রিপোর্টটিতে যা তথাকথিত অবৈধতা বলা হয়েছে, তাতে রাজ্য সরকারের বক্তব্য কতটা প্রতিফলিত হয়েছে। তারপরেই আমরা যথাযথ প্রতিক্রিয়া দিতে পারব। ক্যাগ ২০২১ ২২ অর্থবছর অব্দি তাদের অডিট সম্পূর্ণ করেছে। যার মধ্যে এই ধরনের কোন প্রতিক্রিয়া পাইনি। আমরা জেআরএম রিপোর্টটা পাই বা না পাই বা আমাদের প্রতিনিধি সই থাক বা না থাক এবং কেন সই নেই তার উত্তর চেয়ারপারসন এর কাছ থেকে পাই বা না পাই আমরা বিশদে এই রিপোর্টের জবাব পাঠাবো। পশ্চিমবঙ্গ ভারতের মোট ১২ কোটি ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ১.২ কোটি ছাত্র-ছাত্রীদের মিড ডে মিল পরিষেবা দেয় যার অডিট ক্যাগ আবার রাজ্যজুড়ে করছে। কাজেই তাদের রিপোর্টের অপেক্ষায় থাকা যাক।’

 

Latest article