সংবাদদাতা, কাটোয়া : শাস্ত্রবিধি মেনে ঈশান কোণে মন্দির না গড়ে তা বানানো হয়েছিল অগ্নিকোণে। আর সেই কারণেই সংসারে একটার পর একটা অশান্তি ও ঝামেলা লেগেই ছিল বলে পণ্ডিতরা বিধান দেন। তাঁদের পরামর্শমতোই শেষ পর্যন্ত কালনার শাসপুর গ্রামের উদয় বিশ্বাস আস্ত একটি মন্দিরকে তুলে ৭৫ ফুট দূরে বসাতে চলেছেন।
আরও পড়ুন-নতুন জেলা ঘোষণায় উন্নয়ন, কর্মসংস্থানের আশা বসিরহাটে
ঈশান কোণে এভাবে মন্দির তুলে সরানোর সেই প্রক্রিয়া দেখে তাজ্জব গোটা এলাকার মানুষ। বছর দশেক আগে উদয়বাবু তাঁর বাড়ি ও লাগোয়া মন্দিরটি তৈরি করেন। সে সময় ২৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়। রাজমিস্ত্রিরা জানান, ওই মন্দির ভেঙে সরাতে খরচ পড়বে ১০ লক্ষ টাকা। অত টাকা জোগাড় অসম্ভব বলে তিনি দ্বারস্থ হন ইউটিউবের। জানতে পারেন কীভাবে না ভেঙেই গোটা বাড়ি ঘোরানো বা সরানো যায়। সেইমতো যোগাযোগ করেন কলকাতায় অবস্থিত হরিয়ানার এক কোম্পানির সঙ্গে। ওই কোম্পানির ১৫ জন শ্রমিক উদয়বাবুর বাড়ি দেখে ১৫ দিন আগে সরানোর কাজ শুরু করে দেন। চুক্তিমতো এক হাজার বর্গফুটের মন্দিরটি সরাতে ৪৫০ টাকা প্রতি বর্গফুট হিসাবে খরচ হবে সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা। ভেঙে করলে এর দ্বিগুণ খরচ হত বলে না ভেঙে তাঁদের মাধ্যমেই মন্দিরটিকে এক জায়গা থেকে তুলে অন্য জায়গায় বসানো হচ্ছে।