সংসদে (Parliament) নিরাপত্তা লঙ্ঘন (security breach)। সংসদের গ্যালারি থেকে এবার চেম্বারে ঝাঁপ দিল অন্তত দু’জন। রাজেন্দ্র আগরওয়াল যখন সভার সভাপতিত্ব করছিলেন, দুপুর ১টার দিকে এমন ঘটনা ঘটে। ২২ বছর আগে আজকের দিনেই সংসদে পাক জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছিল। বর্ষপূর্তির দিনই সংসদ ভবনের ঘটনা নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উস্কে দিল। এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কাকলিঘোষ দস্তিদার এই বিষয়ে জানান, দর্শকাসন থেকে সাংসদদের দিকে ঝাঁপ দেন অন্তত দু’জন। এরপর সেই অনুপ্রবেশকারীরা জুতো থেকে ক্যান বের করে স্প্রে করে। ভিডিয়োতে স্পষ্ট সংসদে ধোঁয়া ছেয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন-বর্ধমান স্টেশনে ভে.ঙে পড়ল জলের ট্যাঙ্ক, মৃ.ত ৩, আহত ১২
দেখা গিয়েছে তারা দর্শকদের গ্যালারিতে বসেছিল এবং তারা তাদের জুতা থেকে ক্যানিস্টার বের করেছিল। টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা গেছে যে তারা একটি ডেস্ক থেকে আরেকটি ডেস্কে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন। হাউসের অভ্যন্তরে উপস্থিত সদস্যরা পরে সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে তারা (বিক্ষোভকারীরা) ‘তানা শাহি না চলেগি’ (স্বৈরাচার মেনে নেওয়া হবে না) স্লোগান দিচ্ছিল। তাদের আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-বেপরোয়া গতির বলি খোদ পশ্চিম বন্দর থানার পুলিশকর্মী
সংসদ কমপ্লেক্সের নিকটবর্তী পরিবহন ভবনের কাছে থেকে আরও দুইজন বিক্ষোভকারী, মহারাষ্ট্রের আমোল নামে একজন এবং হিসার (হরিয়ানা) থেকে নীলম নামে একজন মহিলাকে আটক করা হয়েছিল। নিরাপত্তা সংস্থা লোকসভায় প্রবেশকারী দুজনের পরিচয় এখনও প্রকাশ করেনি। কংগ্রেসের নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী জানান “দুই যুবক গ্যালারি থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন এবং এমন কিছু ছুড়েছিল যা থেকে গ্যাস নির্গত হচ্ছিল। তারা এমপিদের হাতে ধরা পড়েছিল, নিরাপত্তা কর্মীরা তাদের বের করে এনেছিল। দুপুর ২টা পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি করা হয়। এটি অবশ্যই একটি নিরাপত্তা লঙ্ঘন কারণ আজ আমরা ২০০১ সালে তাদের জীবন উৎসর্গকারী ব্যক্তিদের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছি।” উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অন্যান্য বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য এদিন ২০০১ সালের সংসদ হামলায় নিহত নিরাপত্তা কর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।