প্রতিবেদন : শহরের উষ্ণতম দিন। ৫০ বছরের রেকর্ড ভেঙে নয়া রেকর্ড গড়ল গরম। টানা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা চলছে শহর জুড়ে। পূর্বাভাস মিলিয়ে পশ্চিমের জেলাগুলির তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি। যদিও এর মধ্যেই সামান্য আশার আলো শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। পারদ সামান্য নামতে পারে দক্ষিণে। তবে পারদ নামলেও গরম থেকে নিস্তার পাবে না বাংলা। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃষ্টি হলেও অস্বস্তি কমবে না। আগামী দু’এক দিনে দক্ষিণবঙ্গের সার্বিক তাপমাত্রার পারদ নামতে পারে ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জারি থাকবে তাপপ্রবাহ। মঙ্গলবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে। মালদহ এবং দুই দিনাজপুরেও চলতি সপ্তাহে তাপপ্রবাহের হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রবি, বুধ এবং বৃহস্পতিবার এই তিন জেলায় তাপপ্রবাহ চলবে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও কালিম্পংয়ে বজ্রগর্ভ মেঘ এবং বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
আরও পড়ুন-টাকার বিনিময়ে যোগশিক্ষা, রামদেবকে পরিষেবা-কর দেওয়ার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
ইতিহাস বলছে, ১৯৮০ সালে এপ্রিল মাসে কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৪১.৭ ডিগ্রিতে। ২০১৬ ও ২০১৪ সালেও শহরের তাপমাত্রা বেশ কয়েকদিন ৪১-র গণ্ডি ছাড়িয়েছিল। ২০২৩ সালে এপ্রিল মাসে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পারদ ছুঁয়েছিল কলকাতায়। কিন্তু কোনওবারেই তাপমাত্রা টানা ৪০ ডিগ্রির উপরে থাকেনি। তবে এই বছরের ১৪ এপ্রিল ৪০ পার করেছে তাপমাত্রার সূচক। কিন্তু সেই থেকেই থমকে রয়েছে তাপমাত্রা। পারদ ঊর্ধ্বমুখী হয়েই চলেছে। যার জেরে নাজেহাল শহরবাসী। সোম-মঙ্গল দাবদাহ কমলেও অস্বস্তি চলবে। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এদিন প্রচণ্ড গরমের জেরে কুমারগঞ্জে মৃত্যুর শরিফ সরকার (৫৭) নামে এক তৃণমূল সমর্থকের। সোমবারও দমদম, উলুবেড়িয়া, ডায়মন্ড হারবার, মেদিনীপুর, কৃষ্ণনগর, বাঁকুড়া, হলদিয়া, বর্ধমান, পানাগড়, মালদহ, পুরুলিয়া, আসানসোলের তাপপ্রবাহ চলবে।