সংবাদদাতা, নন্দীগ্রাম : বেশিরভাগেরই মাথা ফেটেছে। কারও চোখটা চিরতরে নষ্ট হতে বসেছে। আবার কারওর হাত ভেঙেছে। কেউ ভাঙা পা নিয়ে যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। বুকে ব্যথা হচ্ছে। পাঁজর ভেঙেছে। কেউ এখনও ভয়াবহ হামলার আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারছে না। বিজেপির নৃশংস আক্রমণে গুরুতর আহত নন্দীগ্রামের এমন নিরীহ বাসিন্দাদের কলকাতা নিয়ে গিয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেন জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-বিজেপি নেতার আশ্রয়ে অভিযুক্ত
জননেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও ঘটনার পুরো খোঁজখবর নিয়েছেন। চিকিৎসার বিষয়টি তত্ত্বাবধান করছেন তিনি। গুরুতর আহতদের কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। এই ঘটনায় শুক্রবার নন্দীগ্রামে প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্য সম্পাদক, মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এই ঘটনায় তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন বিজেপিকে। সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের পর বিজেপির হামলায় ফের উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, রাজ্যের বিরোধী দলনেতার এই বিধানসভার ভেকুটিয়া, গোকুলনগর এবং সোনাচূড়া অঞ্চল-সহ বিভিন্ন গ্রামে তাণ্ডব শুরু করেছে বিজেপির গুন্ডাবাহিনী। তাদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না তৃণমূল নেতা, কর্মী, সমর্থক, জয়ী প্রার্থী, সাধারণ ভোটার, এমনকী মহিলারাও। তৃণমূল কংগ্রেস করার অপরাধে অনেক জায়গায় বসতবাড়ি ভাঙচুর করেছে।
আরও পড়ুন-বানভাসি হরিয়ানায় শাসক জোটের বিধায়ককে সপাটে চড় কষালেন বৃদ্ধা, এতদিন কোথায় ছিলেন?
বর্ষার মরশুমে যা গ্রামবাসীদের কাছে অত্যন্ত মাথাব্যথার কারণ। পুকুরে কিংবা ফিশারিতে বিষ ফেলে দেওয়া হচ্ছে। নষ্ট করে দিচ্ছে সবজি বাগান। মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘দশ হাজার ভোটে হারার আক্রোশে বিজেপির গুন্ডাবাহিনী এমন হামলা চালাচ্ছে। খেজুরির বর্ডার দিয়ে জলপথে বহিরাগত গুন্ডা ঢুকিয়ে বিজেপি এমন আক্রমণ চালাচ্ছে নিরীহ গ্রামবাসীদের উপর। অনেকের ঘরবাড়ি ভেঙেছে। তাদের তৃণমূল পার্টি অফিসে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। পুলিশকে আমরা জানিয়েছি। দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।” পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের তমলুক সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান পীযূষকান্তি ভুঁইয়া বিজেপির এই বর্বরোচিত আক্রমণের তীব্র নিন্দা করে বলেন, বিজেপির পাশে নন্দীগ্রামের বাসিন্দারা নেই।