প্রতিবেদন: আইনকানুনের তোয়াক্কা না করেই দমনপীড়নের বুলডোজার নীতি চলছে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সামান্য বাদানুবাদেও বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন বিজেপি নেতারা।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
সম্প্রতি এমন এক ঘটনায় যোগীরাজ্যের অরাজকতা ও বিজেপি নেতাদের অসভ্যতা সামনে এল আবার। ঘটনাটি ঠিক কী? জানা গিয়েছে, লখনউয়ের এক হাসপাতালে হঠাৎ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মেয়র সুষমা খারাকওয়াল। সেই সময় আইসিইউয়ে ঢোকার মুখে তাঁকে নিরস্ত করেন চিকিৎসকরা। তাঁকে অনুরোধ জানানো হয়, তিনি যেন জুতো খুলে ভিতরে যান। কারণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাসপাতালের আইসিইউতে ঢুকতে গেলে খুলতে হয় জুতো। রোগীদের স্বার্থেই এই কথা জানানো হয়েছিল লখনউয়ের মেয়র সুষমা খারাকওয়ালকে। আর সেই নির্দেশ শুনেই রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন তিনি। বুলডোজার দিয়ে হাসপাতাল ভাঙচুরের হুমকি দেন। পাশাপাশি চিকিৎসকদের সঙ্গে তর্কাতর্কি জুড়ে দেন। এতেই শেষ নয়। শেষমেশ হাসপাতাল ভাঙতে বুলডোজার নিয়ে হাজির হন মেয়র। যদিও পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে সামলানো হয় পরিস্থিতি।
আরও পড়ুন-আর কত মিথ্যে বলবেন মোদিজি?
এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মেয়রের সমর্থকরা হাসপাতালে বাইরে জড়ো হন পোস্টার হাতে। শুরু হয় বিক্ষোভ প্রদর্শন। বুলডোজার নিয়ে হাসপাতাল ভাঙচুর শুরুর মুখে শেষপর্যন্ত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় স্থানীয় পুলিশ। দুপক্ষকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন তারা। এই ঘটনায় মেয়রের মতো এক পদাধিকারীর এই কুৎসিত, বেআইনি ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। খোদ লখনউয়ের মেয়র যেভাবে নিজে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করে পাল্টা বুলডোজারে তাণ্ডব চালানোর চেষ্টা করলেন তাতে বিজেপি রাজ্যে প্রশাসনের জনবিরোধী চেহারা নগ্ন হয়ে পড়েছে। পরে হাসপাতালের ডিরেক্টর মুদ্রিকা সিং এই ঘটনাকে ‘ভুয়ো’ বলে দাবি করায় প্রশ্ন উঠছে, চাপের মুখে কি পিছু হঠল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ?