দুই বিমানের দূরত্ব মাত্র ১.৮ কিমি, মহিলা পাইলটের দক্ষতায় প্রাণ বাঁচল ৩০০ যাত্রীর

এই প্রশ্ন উঠছে, যাত্রী নিরাপত্তার ইস্যুতে কর্তৃপক্ষের এত ঢিলেঢালা মনোভাব নিয়ে। সেইসঙ্গে প্রকট হচ্ছে বিমান পরিষেবা পরিচালনায় সমন্বয়ের গুরুতর অভাব।

Must read

প্রতিবেদন: ভয়ঙ্কর বিপর্যয় থেকে রক্ষা। উপস্থিতবুদ্ধি ও দক্ষতায় ৩০০ যাত্রীর প্রাণ রক্ষা করলেন এক মহিলা বিমানচালক। মারাত্মক বিমান দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল দুই বিমান। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

আরও পড়ুন-আইসিইউতে জুতো খোলার কথা শুনে বুলডোজার-হুমকি, লখনউ মেয়রের কীর্তি

বুধবার দিল্লি বিমানবন্দরে ভিস্তারা বিমান সংস্থার একটি বিমানকে অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়। অন্যদিকে ওই সংস্থার আরও একটি বিমান ওই একই রানওয়েতে তখন উড়ানের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। যদিও পাইলটের উপস্থিতবুদ্ধির জেরে নিশ্চিত সংঘর্ষের মুখ থেকে রক্ষা পায় বিমান দুটি।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে দিল্লি বিমানবন্দরে আহমেদাবাদ-দিল্লিগামী বিমান ও দিল্লি-বাগডোগরাগামী বিমানকে একই রানওয়েতে একইসঙ্গে অবতরণ ও ওড়ার অনুমতি দিয়ে দেওয়া হয়। এই দুটি বিমানই ছিল ভিস্তারা সংস্থার। অনুমতি পেয়ে অবতরণের পর একটি বিমান রানওয়ে ধরে পার্কিং বে’র দিকে এগোচ্ছিল। তখনই সেই পথে একই রানওয়ে ধরে ছুটতে শুরু করে দিল্লি-বাগডোগরাগামী বিমানটি।

আরও পড়ুন-দিনের কবিতা

এর ফলে মাত্র কিছুক্ষণের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেই সময় হঠাৎ বাগডোগরাগামী বিমানের মহিলা চালক ৪৫ বছর বয়সি সনু গিলের নজরে আসে রানওয়েতে দাঁড়িয়ে রয়েছে আরেকটি বিমান। সেই সময় দুটি বিমানের মাঝে দূরত্ব ছিল মাত্র ১.৮ কিলোমিটার। তৎক্ষণাৎ এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি তাদের নজরে আনেন ওই মহিলা বিমানচালক। সঙ্গে সঙ্গে এটিসির তরফে বাগডোগরাগামী বিমানকে থামার নির্দেশ দেওয়া হয়। ওড়ার মুখে এই ঘটনায় যাত্রীদের মধ্যে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়। তবে দুর্ঘটনা এড়ানো গেলেও কীভাবে একই রানওয়েতে দুটি বিমানকে একই সময়ে একত্রে ওড়া এবং অবতরণের অনুমতি দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

আরও পড়ুন-আর কত মিথ্যে বলবেন মোদিজি?

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, এটিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী প্রথম ভিস্তারা বিমানটিকে অবতরণের অনুমতি দিলেও পরে বিষয়টি ভুলে গিয়ে দ্বিতীয় ভিস্তারা বিমানটিকেও উড়ানের অনুমতি দিয়ে দেন। মারাত্মক গাফিলতি শেষ মুহূর্তে পাইলটের নজরে আসায় প্রাণ বাঁচে দুই বিমান মিলিয়ে ৩০০ যাত্রীর। এটিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ডিজিসিএ। এই প্রশ্ন উঠছে, যাত্রী নিরাপত্তার ইস্যুতে কর্তৃপক্ষের এত ঢিলেঢালা মনোভাব নিয়ে। সেইসঙ্গে প্রকট হচ্ছে বিমান পরিষেবা পরিচালনায় সমন্বয়ের গুরুতর অভাব।

Latest article