ক্যান্ডি, ৩ সেপ্টেম্বর : সেই বৃষ্টির ক্যান্ডিতে সোমবার ভারত-নেপাল ম্যাচ। সুপার ফোর-এ পা রাখার জন্য এই ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ ভারতের কাছে। জিতলে পাকিস্তানের মতো তিন পয়েন্ট নিয়ে সুপার ফোর-এ যাবেন রোহিত শর্মারা। আবার বৃষ্টিতে পয়েন্ট ১-১ ভাগাভাগি হলেও রোহিতদের পরের ধাপে যাওয়া আটকাবে না। যেহেতু নেপাল প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ২৩৮ রানে হেরেছে। এদিকে, ব্যক্তিগত কারণে দেশে ফিরে গিয়েছেন জসপ্রীত বুমরা। তবে সুপার ফোর-এর আগেই তিনি আবার ফিরে আসবেন।
আরও পড়ুন-জন্মাষ্টমীর আগেই সেজে উঠেছে চাকলা ও কচুয়া ধাম
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৫ ওভারে ৬৬-৪ থেকে ভারত ২৬৬ রান করেছে। ইশান কিশান ও হার্দিক পাণ্ডিয়া চাপের মুখে অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন। এই ম্যাচ থেকে এটাই প্রাপ্তি রোহিতদের। এক সময় শাহিন আফ্রিদি চেপে ধরেছিলেন ভারতীয় ব্যাটিংকে। তাঁর সঙ্গে বল হাতে নজর কেড়েছেন হ্যারিস রউফ ও নিসিম শাহ। আফ্রিদির চার উইকেটের পাশে তিন উইকেট হ্যারিস ও নাসিমের।
আরও পড়ুন-বিতর্কের মধ্যেই মদে বিপুল আয়
একদিনের ক্রিকেটে পাঁচ নম্বরে এই প্রথম খেললেন ইশান। তিনি কিন্তু চাপের পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা করে দলকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। ইশান একটা দিক ধরে রাখার জন্যই হার্দিক পরে নিজের খেলা খেলতে পেরেছেন। এই দুজনের জুটিতে ১৩৮ রান উঠেছে বলে ভারত শেষপর্যন্ত ২৬৬ রান করতে পেরেছে। কিন্তু রোহিত, বিরাটের রান না পাওয়া অবশ্যই চিন্তার বিষয়। রান পাননি শ্রেয়স, শুভমন, জাদেজা, শার্দূলও। নেপালের বিরুদ্ধে সবাই ছন্দে ফেরার চেষ্টায় থাকবেন।
আরও পড়ুন-কক্ষপথ বদল সফল, গতি বাড়াল আদিত্য
নেপালের জন্য মুশকিল এটাই যে, তাদের প্লেয়াররা খুব বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ পান না। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নেপালের বোলার এবং ব্যাটাররা কিছু করতে পারেননি। এর মধ্যে জসপ্রীত বুমরা আবার ফিরে এসে নিজের ছন্দে বল করছেন। প্রশ্ন হল, নেপালের ব্যাটাররা বুমরাকে দশ ওভার হাত ঘোরানোর সুযোগ দেন কিনা। নেপালের ইনিংস দ্রুত শেষ হলে ম্যাচ প্র্যাকটিস হবে না বোলারদের।
এই ম্যাচে নজর নিজেদের দিকে ঘোরানোর চেষ্টা করবেন নেপালের লেগ স্পিনার সন্দীপ লামিছানে ও অধিনায়ক রোহিত পাওডেল। আর ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে থেকে রানের খোঁজে থাকবেন শুভমন গিল, শ্রেয়স আইয়াররা। বিশ্বকাপের আগে এখন সব ম্যাচই তাঁদের জন্য স্টেজ রিহার্সাল। তবে সবটাই নির্ভর করছে আবহাওয়ার উপর।