সংবাদদাতা, কাটোয়া : বেশ কয়েকবার পূর্ব বর্ধমান ঘুরে গিয়েছেন সদ্যপ্রয়াত বরিষ্ঠ পরিচালক তরুণ মজুমদার। কখনও শ্যুটিং, কখনও আলোচনা-অনুষ্ঠানে, কখনও বা নিছক বেড়াতে। প্রয়াণের পর স্বাভাবিকভাবেই সেই স্মৃতিকথাই আলোচিত হচ্ছে এলাকায়। ২০১৯-এ কালনা সিনে সোসাইটির ৫০ বছর পূর্তিতে নানা দেশের বাছাই করা সিনেমা নিয়ে উৎসব হয় পুরশ্রী প্রেক্ষাগৃহে। উৎসবের উদ্বোধন ও স্মারকপত্রের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন তিনি। ‘সিনেমার গতিপ্রকৃতি’ নিয়ে আলোচনাও করেন।
আরও পড়ুন-সংস্কার করে দ্বার খুলছে হাওড়া টাউন হলের
সেই থেকে সোসাইটির তৎকালীন সম্পাদক ইতিহাস গবেষক সিদ্ধেশ্বর আচার্যর সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে তাঁর। শোকাহত অশীতিপর সিদ্ধেশ্বরবাবু বলেন, ‘‘দু’মাস আগেও ওঁর সিনেমাপাড়া দিয়ে বইটি পড়ে ভাল লাগার কথা জানাতে ফোন করি।“ বর্ধমান শহরে এলে থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি নিবাসে। তাঁর সরল জীবনযাপন এখনও মনে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তখনকার কর্মীদের। ২০১৮-য় দু’বার ও ২০১৯-এ একবার আসেন তিনি। আউশগ্রাম, খণ্ডঘোষ, শশঙ্গা, গৈতানপুর, গুসকরায় শ্যুটিং করেন গণদেবতা, খেলার পুতুল, ঠগিনী, ও আমার দেশের মাটি সিনেমা এবং রাঙামাটির দেশে ও অধিকার ডকু-ফিচারের।
আরও পড়ুন-অঙ্গদানে ফের নজির
তাঁর সঙ্গ পাওয়া প্রত্যেকে জানান, ‘‘অত বড় মাপের মানুষ সকলের সঙ্গে সহজে মিশে যেতেন।’’ রেল নিয়ে একটি তথ্যচিত্র বানানোর প্রস্তাব নিয়ে তরুণ মজুমদারের সঙ্গে কথা বলার জন্য ৩০ মিনিট সময় পেয়ে আড্ডায়-গল্পে ৩ ঘণ্টা কাটানোর বিরল অভিজ্ঞতা জীবনের সম্পদ হয়ে থাকবে পূর্ব রেলের প্রাক্তন জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তীর। তরুণ মজুমদারের জীবন ও সৃজন নিয়ে নিজের গবেষণাপত্র ছাপছেন ভাতারের স্কুলশিক্ষক বাবলু মণ্ডল। তাঁকে দিয়েই বইটি প্রকাশের ইচ্ছে ছিল, কিন্তু তা আর হল না।