প্রতিবেদন : বিজেপি সরকারের জনস্বার্থবিরোধী নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেই ঢোকানো হবে জেলে৷ এটাই বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলির গণতন্ত্রের নমুনা৷ এমনই ঘটল এবার উত্তরপ্রদেশে৷
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করে দেওয়া হয়েছিল ‘বাই বাই মোদি’ হোর্ডিং (Bye Bye Modi) । তাতে ছিল সরকারি নীতির কড়া সমালোচনা৷ হোর্ডিং দিয়ে মোদি সরকারের সমালোচনা করার প্রতিক্রিয়ায় ৫ জনকে গ্রেফতার করল যোগীরাজ্যের পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে (এলাহাবাদ)। ধৃতদের বিরুদ্ধে প্রয়াগরাজের কর্নেলগঞ্জ থানায় মোদির ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগ এনেছিল গেরুয়া শিবিরের লোকজনই৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তড়িঘড়ি পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রের ঔদ্ধত্য, ক্ষিপ্ত আদালত, পিএম কেয়ার্স ফান্ড
প্রয়াগরাজের যে হোর্ডিং ঘিরে অতিসক্রিয় বিজেপির পুলিশ, সেখানে বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি, কৃষক অসন্তোষ, কর্মসংস্থানের মতো বিভিন্ন জ্বলন্ত ইস্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করা হয়েছিল। এই গ্রেফতারের ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে তাহলে মোদি সরকারের সমালোচনা করা কি আইন অমান্য করার শামিল? এটাই কি গণতন্ত্রের নমুনা? কর্নেলগঞ্জ থানার পুলিশের বক্তব্য, ১০ জুলাই শহরের গুরুত্বপূর্ণ দু’টি মোড়ে প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেওয়া আপত্তিকর হোর্ডিং ঝুলিয়েছিল অভিযুক্তরা। সেই কারণে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জাতীয় সংহতি নষ্ট করার চেষ্টা, মিথ্যা প্রচারের মাধ্যমে বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টার মতো একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে ধৃৃতদের পরিচয় পুলিশ প্রকাশ করেনি। অন্যদিকে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, এই হোর্ডিং (Bye Bye Modi) দেওয়ার পিছনে রয়েছে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের ঘনিষ্ঠ কিছু লোকজন। সম্প্রতি তেলেঙ্গানায় ক্ষমতা দখল ঘিরে টিআরএস-এর সঙ্গে বিজেপির জোরদার রাজনৈতিক লড়াই চলছে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই দলের সংঘাত আরও বেড়েছে। তবে এ ধরনের সমালোচনামূলক পোস্টার লাগালে কাউকে গ্রেফতার করা যায় কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গণতান্ত্রিক দেশে সকলের মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। তাছাড়া ওই হোর্ডিংয়ে বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধির মতো যে সমস্ত বিষয় তুলে ধরা হয়েছে সেগুলির কোনওটাই মিথ্যা বা অপপ্রচার নয়। বরং মোদি সরকারের ব্যর্থতাকেই সামনে এনেছে। সে কারণেই কি এভাবে প্রতিবাদীদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা?