ফের মুখ পুড়ল বিশ্বভারতীর

Must read

সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে মৌসুমী ভট্টাচার্যের এজলাসে দুটো চিঠিই এক সাথে বাতিল। উপাচার্য বিদ‍্যুৎ চক্রবর্তী প্রতিবাদী অধ‍্যাপক ড. মানস মাইতির আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রকল্প আঁটকাতে নিজের সহকর্মীর বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরে চিঠি লেখেন। তার প্রেক্ষিতে বিভাগীয় দফতর উপাচার্য কাঙ্ক্ষিত ‘শাস্তির’ খাঁড়ার কোপে এই আন্তর্জাতিক গবেষণার টিম থেকে বের করে দিয়ে অনুমোদন কেড়ে নেয়। বুধবার আদালত এই দুটো চিঠিই একযোগে বাতিল করে দেয়। শুধু তাই নয়, ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগে উপাচার্যর চিঠি দেওয়াকে এক্তিয়ার বহির্ভূত বলে মন্তব্য করেছে আদালত। বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati) উপাচার্যর এই চিঠির প্রেক্ষিতে ড. মানস মাইতিকে ‘সার্নের লার্জ হ‍্যাড্রন কোলাইডার প্রকল্প’ থেকে বিচ্ছিন্ন হন অধ্যাপক মাইতি। কারণ ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরের এক চিঠি। আর তাতেই ওই অধ‍্যাপক শুধু নন, বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati) আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি মর্যাদার ক্ষতির সম্মুখীন হয়। বুধবার আদালতের স্থগিতাদেশের পর খুশির হাওয়া শান্তিনিকেতনে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি অগাস্টের শেষে হওয়ার কথা। উপাচার্যর ড. মাইতির উপর ব‍্যক্তিগত আক্রোশের কারণ উপাচার্য গত বছরের ছাব্বিশে ফেব্রুয়ারিতে ইংরেজি বিভাগের অধ‍্যাপকদের আঁটকে মুচলেকা নেওয়া নিয়ে অভিযোগ ওঠে উপাচার্যর বিরুদ্ধে। যদিও তিনি তা অস্বীকার করেন। তবে এই আঁটকে রাখার ঘটনার প্রতিবাদ করেন ড. মাইতি। তারপরই চার মে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। যদিও অধ‍্যাপক কোলকাতা উচ্চ আদালতে দ্বারস্থ হলে, এক অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে আদালত জানিয়ে দেয় ড. মাইতির বিরুদ্ধে কোনও ব‍্যবস্থা নেওয়া যাবে না। তারপরও উপাচার্য আদালতের নির্দেশ মেনে সাসপেনশন তোলেননি।

আরও পড়ুন: অরণ্যসুন্দরী বাংলায় শুরু বনমহোৎসব

Latest article