সিএএ রাজনৈতিক গিমিক এরপর করবে এনআরসি

সিএএ আসলে নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক গিমিক ছাড়া অন্য কিছুই নয়।

Must read

রিতিশা সরকার, শিলিগুড়ি: সিএএ আসলে নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক গিমিক ছাড়া অন্য কিছুই নয়। এরপর ওদের ষড়যন্ত্র এনআরসি করার। মনে রাখবেন, বাংলায় আমরা এসব হতে দেব না। কারও অধিকার কাড়তে দেব না। তৃণমূল কংগ্রেস এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, প্রতিরোধ করছে, করবে। বুধবার শিলিগুড়ির উত্তরকন্যা থেকে ফের হুঙ্কার দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায় এটা ড্র্যাকুনিয়ন আইন। এ জিনিস চলতে পারে না। ভোটের আগে মানুষকে ধোকা দিতেই সিএএ আনা হয়েছে।

আরও পড়ুন-বাংলা-বিরোধীদের বিসর্জন, রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের অধিকার-যাত্রা

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এটা ভোটের জন্য করেছে। এটা জাস্ট একটা ছাপ্পা, একটা ধাপ্পা, আর লুডোর ছক্কা। এটা দেখিয়ে যদি দুটো আসন পাওয়া যায়, আর ভোটে জেতা যায় তাই এটা করেছে। কিছুদিন আগে আধার কার্ড বাতিল করবে বলেও বলেছিল। বলেছিলাম আধার কার্ড বাতিল করলে আমরা নতুন কিছু চালু করে দেব। আর এখন ওরা বলছে ক্যা চালু হলে কোনও কিছু করা হবে না। কিন্তু আইনে নেই। তাই আমি মনে করছি সিএএ একটি পলিটিক্যাল গিমিক। এর সঙ্গে এনআরসির সম্পর্ক আছে। এদিন শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় একগুচ্ছ প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তার মধ্যে উৎসধারা প্রকল্পের আওতায় ৪২২ জনকে ফ্ল্যাট দেওয়া হয়। মঞ্চেই ২০ জনের হাতে ফ্ল্যাটের চাবি তুলে দেন মুখমন্ত্রী। চা-বাগানের ৫০০ জন শ্রমিককে জমির পাট্টা দেওয়া হয়। এঁদের মধ্যে মঞ্চেই ২০ জনের হাতে পাট্টা তুলে দেন। এঁদের ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বাড়ি বানানোর জন্য। এ-ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোট ৩৫টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন যার অর্থমূল্য ১৫৩ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকা। শিলান্যাস করেন ৪৩টা প্রকল্পের যার অর্থমূল্য ১৭৭ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সাড়ে তিন লক্ষ মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেয়েছেন এখানে।

আরও পড়ুন-পরিবারতন্ত্র নয়, মানুষতন্ত্র করি, কড়া বার্তা দলনেত্রীর

সিএএ প্রসঙ্গে তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, বাংলায় কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প হবে না। তাঁর সংযোজন, মুসলিম সমাজকে বাদ দিয়ে দিয়েছে তারা। বিজেপি হিন্দু-হিন্দু বলে। আসলে তারা সেই হিন্দু নয়। নতুন করে হিন্দু ধর্ম করছে। মানুষকে অসম্মান করছে। আপিল করলেই সব কেড়ে নেবে। ২০২০ সালে ক্যা চালু করেছিল। আসামে ১৯ লক্ষ মানুষ ডিটেনশন ক্যাম্পে চলে গেছিল। এর মধ্যে প্রচুর সংখ্যালঘু ও গোর্খা ভাই-বোনেরাও ছিল। হঠাৎ করে নির্বাচনের আগে চার বছর পর কেন চালু করল। আসলে নির্বাচনের আগে মানুষকে বোকা বানানোই তাদের উদ্দেশ্য।

Latest article