সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : বিশ্বভারতীর নির্দেশ বাতিল করে গবেষণারত বিশ্বভারতীর টিএমসিপি ইউনিটের সভানেত্রী মীনাক্ষী ভট্টাচার্যের গবেষণায় আরও দুই বছর সময়কাল মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ববর্তী নির্দেশ বাতিল করে মীনাক্ষী ভট্টাচার্যের গবেষণায় রিরেজিস্ট্রেশন করতে নির্দেশ দিয়ে বলেছে, শুধুমাত্র টেকনিক্যাল পদ্ধতিগত ভুল থাকার কারণে একজন ছাত্রীর ভবিষ্যৎ নষ্ট করা যায় না। ওই ছাত্রীর গবেষণার সময়সীমা বর্ধিত করার আবেদনকেই রিরেজিস্ট্রেশন-এর আবেদন হিসেবে মঞ্জুর করা যেত।
আরও পড়ুন-আরও ১৫ লক্ষ সাইকেল
বিশ্বভারতী চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ছাত্রীর পিএইচডি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় এবং তৃণমূল ছাত্রছাত্রী ইউনিটের সভানেত্রী মীনাক্ষী ভট্টাচার্যকে চলতি বছরের ১৯ জুন জানানো হয় যে, তাঁর পিএইচডি সম্পূর্ণ করার জন্য দুই বছরের ছাড়ের আবেদন রিসার্চ বোর্ড বাতিল করেছে। তাছাড়া মীনাক্ষী দিল্লির কাউন্সিল অফ ফিলোজফিক্যাল রিসার্চ থেকে ফেলোশিপ নিয়ে আংশিক কর্মী হিসেবে নিযুক্ত আছেন। এই রায়ে খুশি মীনাক্ষী ভট্টাচার্য। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন-বিদ্যুতের বিল নিয়ে কুৎসার জবাব দিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস
বিভিন্ন সময়ে বিশ্বভারতীতে বর্তমান উপাচার্যের গৈরিকীকরণের বিরুদ্ধে মীনাক্ষী সোচ্চার হন। আর সে কারণেই এমন প্রতিহিংসা বলে দাবি অনেকের। সঠিক সময়ে ফল প্রকাশ না করায় রাজ্য সরকারের বিবেকানন্দ স্কলারশিপ-সহ একাধিক স্কলারশিপের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা। সেই সব বঞ্চনার বিরুদ্ধে বিশ্বভারতীতে আন্দোলনে নামেন টিএমসিপি নেত্রী মীনাক্ষী।