সেপটিক ট্যাঙ্কে মৃত তিনজনের পরিবারকে ২ লক্ষ করে দিল রাজ্য

সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতরে আটকে পড়ে মৃত ৩ জনের পরিবারের পাশে দাঁড়াল রাজ্য সরকার।

Must read

সংবাদদাতা, রায়না : সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতরে আটকে পড়ে মৃত ৩ জনের পরিবারের পাশে দাঁড়াল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মঙ্গলবার রাতেই বড়বৈনান গ্রামে পৌঁছে রাজ্য বিপর্যয় ব্যবস্থাপন দফতরের তরফে মৃতদের পরিবার-পিছু ২ লক্ষ টাকা করে তুলে দেন মন্ত্রী মলয় ঘটক। সঙ্গে ছিলেন রায়নার বিধায়ক শম্পা ধাড়া, জামালপুরের বিধায়ক অলোক মাঝি, পূর্ব বর্ধমান জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি সৈয়দ মহম্মদ সেলিম, রায়না ২ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সৈয়দ কলিমুদ্দিন।

আরও পড়ুন-বিশ্বভারতীর নির্দেশ বাতিল কলকাতা হাইকোর্টে, ছাত্রীর গবেষণায় বাধা নেই

মঙ্গলবার বড়বৈনানের কয়ালপাড়ার বাসিন্দা জয়ন্ত মালিকের নির্মীয়মাণ সেপটিক ট্যাঙ্কের সেন্টারিং পাটা খুলতে নামেন বাঁকুড়ার রাজমিস্ত্রি জয়দেব মাল। দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও তাঁর সাড়া না পেয়ে কী হল দেখতে একে একে আকাশ সাঁতরা, সুন্দরম মালিক, জগন্নাথ মালিক ও অনুপ মালিকও সেপটিক ট্যাঙ্কে নামেন এবং সকলেই সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁদের উদ্ধার করে মাধবডিহি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানেই জয়দেব, আকাশ ও সুন্দরমকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অসুস্থ অবস্থায় জগন্নাথ ও অনুপ চিকিৎসাধীন। গুরুতর অসুস্থ অনুপকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। মাধবডিহি থানার পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে।

আরও পড়ুন-আরও ১৫ লক্ষ সাইকেল

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বিষাক্ত গ্যাসের প্রভাবেই এই ঘটনা। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই তা স্পষ্ট হবে। মর্মান্তিক ঘটনার খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতেই বড়বৈনানে মৃতদের বাড়ি পৌঁছান মন্ত্রী মলয় ঘটক-সহ অন্যরা। মন্ত্রী জানান, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। রাজ্য সরকার এবং তৃণমূল কংগ্রেস পরিবারগুলির পাশে সর্বতোভাবে থাকবে।’’ পরিবারগুলির হাতে ২ লক্ষ টাকা করে চেক তুলে দেওয়া হয়। বিধায়ক শম্পা ধাড়াকে পরিবারগুলির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে সমস্যার বিষয়ে খোঁজ রাখারও নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

Latest article