প্রতিবেদন : মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়ে সেখানেই মানসিক নির্যাতনের শিকার রোগীরা। না দেওয়া হয় ঠিকমতো খাবার, না জোটে ঠিকঠাক জামাকাপড়। অত্যন্ত অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ। সুরক্ষা-ব্যবস্থাও ঢিলেঢালা। ‘উপরি পাওনা’ চরম দুর্ব্যবহার। ওষুধ-পথ্য তো দূরের কথা, ডাক্তার-নার্সদেরও দেখা মেলে না বেশিরভাগ সময়ই। এই হল রাজ্যের অত্যন্ত পরিচিত মানসিক হাসপাতাল পাভলভের (Pavlov Hospital) আসল ছবি। এবারে বড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে রোগীদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রবিবার দুপুরে খাবার সময় দেখা গেল একজন চড়ে বসেছেন গাছের মগডালে। কিছুতেই নেমে আসতে রাজি নন তিনি। তাই নিয়ে ব্যাপক হইচই। অনেক অনুরোধ-উপরোধেও কাজ না হওয়ায় ডাক পড়ল দমকলের। কিন্তু কে শোনে কার কথা। শেষে অবশ্য স্থানীয়দের প্রচেষ্টাতেই নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব হয় তাঁকে। কিন্তু সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয়টা হল, এমন ঘটনা এখানে আকছারই ঘটে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিদিনই দুপুরে খাওয়ার আগে চিকিৎসাধীনরা ঘুরে বেড়ান উন্মুক্ত স্থানে। সঙ্গে লোক থাকার কথা নজরদারির জন্য। কিন্তু প্রায়ই লোক থাকে না ঠিকমতো। এদিনও সম্ভবত সেটাই ঘটেছিল। কিন্তু ডিপ্রেশন এবং স্কিজোফ্রেনিয়ার ক্ষেত্রে এই নজরদারিটার বিশেষ প্রয়োজন। তা না হলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা যে কোনও মুহূর্তে। কাউন্সেলিং এবং সাইকোথেরাপি নিয়মিত হয় কি না, সংশয় দেখা নিয়েছে তা নিয়েও। পাভলভের (Pavlov Hospital) অব্যবস্থার স্পষ্ট ছবি ধরা পড়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের স্ক্যানারে। ইতিমধ্যেই শোকজ করা হয়েছে সুপারকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে ৭ দিনের মধ্যে। কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার পথে স্বাস্থ্য দফতর।
আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় প্রচারে সৌগত রায়: বললেন, বিপ্লব দেব মূর্খ-গুন্ডা