সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার : জেলা প্রশাসনের বিরাট সাফল্য। হাতেনাতে ধরে ফেলল বালি-পাচার চক্র। বালি-পাথর-মাফিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমে জেলা প্রশাসন উদ্ধার করে ১৯টি ট্রাক এবং ৫টি ট্রাক্টর সমেত বালি। বাজেয়াপ্ত হয় প্রচুর পাথর। এই বিষয়ে জেলাশাসক সুরেন্দ্রকুমার মিনা জানান, এটি প্রশাসনের বিরাট সাফল্য। বেশ কিছুদিন ধরেই চলছিল অভিযান অবশেষে পাচার চক্রের হদিশ মেলে। প্রচুর পরিমাণে বালি এবং পাথর উদ্ধার হয়েছে । অবৈধ পাচারের বিরুদ্ধে অভিযান জারি থাকবে। ধরা পড়লে নেওয়া হবে কঠিন ব্যবস্থা। রাজ্য জুড়ে জারি রয়েছে কোভিড বিধিনিষেধ। যার ফলে রাস্তাঘাটে অন্য সময়ের তুলনায় মানুষজনের আনাগোনা অনেকটাই কম। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের নির্দেশে জেলায় চলছে সপ্তাহে দু’দিন স্থানীয় স্তরে কার্যত লক ডাউন। আর এই সুযোগে জেলা জুড়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বালি-পাথরের অবৈধ কারবারিরা। আলিপুরদুয়ার জেলা জুড়ে বয়ে যাওয়া নদীগুলি এই সমস্ত মাফিয়াদের কালো টাকার মূল উৎস। কিছু জায়গায় আইন মেনে বালি, পাথর তোলা হলেও অনেক জায়গায় এই সমস্ত মাফিয়ারা প্রশাসনের নজর এড়িয়ে, কোভিড পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে চালাচ্ছিল তাদের অবৈধ বাণিজ্য। কিন্তু জেলা প্রশাসনের সতর্ক দৃষ্টি এড়িয়ে তারা সফল হতে পারল না। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গত কয়েকদিন ধরে জেলা প্রশাসন লাগাতার এই সমস্ত অবৈধ কারবারের বিরুদ্ধে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে। জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে ভূমি রাজস্ব, পরিবহণ ও বন দফতর যৌথ ভাবে অভিযানে নামে এই মাফিয়াদের বিরুদ্ধে। জেলার কুমারগ্রাম ব্লক, মাদারিহাট বীরপাড়া ব্লকে চলে রাতে ও দিনে অভিযান। গত দু’দিন এই সমস্ত অভিযান চালিয়ে জেলায় ট্রাক ও ডাম্পার মিলে মোট ১৯টি ও ৫টি ট্রাক্টর বাজেয়াপ্ত করে প্রশাসন। নদীর বুক থেকে বালি, পাথর তোলার কাজে ব্যবহৃত ৩টি পে-লোডারও আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি অবৈধভাবে মজুদ করে রাখা বালি এবং পাথরের সন্ধান পেয়েছে প্রশাসন তারপর সেগুলো উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: দূরবিনেও নেই বিরোধীরা