প্রতিবেদন : পঞ্চাশ লাখের বিনিময়ে ডিল করতে চেয়েছিল সিবিআই। অত টাকা কোথায় পাব? বলায় বগটুই-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখের স্ত্রী রেশমা বিবিকে সিবিআই অফিসাররা হুমকি দিয়েছিল, ১২টার পর দেখ কী অবস্থা করি। এরপর দুটোর সময়ই খবর আসে, লালন মারা গিয়েছে। সিবিআইয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়াতেই খুন বলে এফআইআরে গুরুতর অভিযোগ করলেন রেশমা। চাইলেন সিআইডি তদন্ত। মঙ্গলবার রাতেই তদন্তে নামে সিআইডি।
আরও পড়ুন-মেঘের রাজ্যেও এবার পরিবর্তন
জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়ে গিয়েছে। মেঘালয় থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সিবিআইয়ের ভূমিকার তীব্র নিন্দা করে বলেছেন, ওদের হেফাজতে যখন মৃত্যু হয়েছে, তখন তার দায় সিবিআইকেই নিতে হবে। লালনের মৃত্যুতে মঙ্গলবার উত্তাল রামপুরহাট। দফায় দফায় টায়ার জ্বালিয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ, মিছিল হল। রেশমার আরও অভিযোগ, সিবিআই জিভও কেটে নিয়েছিল লালনের! বিলাস মহাগুট, ভাস্কর মণ্ডল ও রাহুল নামে তিন সিবিআই আধিকারিকের নাম করেছেন এফআইআরে। তার ভিত্তিতে পুলিশ খুনের মামলা রুজু করেছে। লালনের মেয়ে রুকসারা ও দিদি নাজেরবানুও সিবিআইয়ের নামে অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন-অবহেলিত উত্তর-পূর্বের রাজ্য, শিলংয়ে দাঁড়িয়ে নেত্রীর ঘোষণা মেঘালয়েই উঠবে নতুন সূর্য
এদিন গ্রামবাসীরা সিবিআই ক্যাম্পে ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকতে গেলে ধস্তাধস্তি হয়। রামপুরহাট থানার আইসি, এসডিপিও ধীমান মিত্র, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিষেক রায়ের মধ্যস্থতায় অবরোধ ওঠে। এ ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিল রামপুরহাট আদালত। বর্তমান এসিজেএমের তদারকিতে হবে তদন্ত। মঙ্গলবার সিবিআই লালনের ভাই জাহাঙ্গির শেখকে আদালতে তোলে। বিচারক ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠান। ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। কলকাতা থেকে সিআইডির একটি দল গিয়েছে। দিল্লি থেকে সিবিআইয়ের একটি দলও এসেছে রামপুরহাটে।