প্রতিবেদন : নির্বিঘ্নেই কেটেছে দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজোর পর্ব। এবার সামনে কালীপুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজো। বাঙালি এখন উৎসবেই মেতে। এই উৎসব যাতে নির্বিঘ্নে পালন করা হয় তা দেখতে জেলা প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দিল নবান্ন। শনিবার নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে, কালীপুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজোতে খুবই দায়িত্ব সহকারে সজাগ থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। উৎসেবর আবহে কোনও রকম অশান্তি কিংবা উপদ্রব যেন মাথাচাড়া দিতে না পারে।
আরও পড়ুন-আগাম পরিকল্পনা শুরু সুব্রত মণ্ডলের
প্রশাসনের তরফে জারি করা নোটিশে বলা হয়েছে, দেশকে অশান্ত করে তুলতে নানা জঙ্গি ও বিভেদকামী শক্তিগুলি পুরোপুরি সচেষ্ট, তাই পুলিশ কমিশনার, জেলাশাসকদের এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বড় পুজো প্যান্ডেলগুলিতে সিসিটিভি ও ওয়াচ-টাওয়ার তৈরি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি উপদ্রুত এলাকাগুলিতে বিশেষভাবে নজরে রাখতে বলা হয়েছে। পুজো কমিটিগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এলাকার প্রশাসনের সঙ্গে বসে আলোচনা করে পুজোর সবরকম ব্যবস্থা করতে হবে। আগামী ৫ থেকে ৭ নভেম্বরের মধ্যে কালীপুজোর বিসর্জনের দিন ধার্য করা হয়েছে। প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করেই প্রতিমা নিরঞ্জন করতে হবে।
আরও পড়ুন-অতিরিক্ত উচ্ছ্বাস নয়, কর্মীদের বললেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামী
তেমনই জগদ্ধাত্রী পুজোতে বিসর্জনের দিন ধার্য করা হয়েছে ১৪ ও ১৫ নভেম্বর। উৎসবের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তি রক্ষার্থে জোর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, নবান্নের তরফে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ধর্মীয় নেতা ও পুজো কমিটির সঙ্গে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপাররা আলাদা করে আলোচনায় বসতে পারেন। শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে স্থানীয় কো-অর্ডিনেশন কমিটি গঠনের কথাও বলা হয়েছে। এ ছাড়াও করোনাকে মাথায় রেখেই সব কিছু দেখতে হবে। রাজ্যে আপাতত বাড়ছে করোনা। তাই বেশি ভিড় ও লোক সমাগমের দিকে না ঝোঁকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুজো কমিটিগুলিকে।