প্রতিবেদন : একই দিনে জোড়া ধাক্কা আদালতে। তার ওপর ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছে কমিশন। এই অবস্থায় হাওয়া খারাপ বুঝে ফের নয়া নাটক শুরু বিজেপির। একদিকে পঞ্চায়েত ভোটে হার প্রায় নিশ্চিত। পাশাপাশি এটা পরিষ্কার, এক লপ্তে ৮২২ কোম্পানি বাহিনী দেওয়া কেন্দ্রের পক্ষে সম্ভব নয়। এতদিন ‘বাহিনী চাই’ বলে গলা ফাটিয়ে এখন তাই চুপসে গিয়েছে বিজেপি। শুরু হয়েছে নতুন নাটক। এক নয়, একাধিক দফায় করতে হবে ভোট। এটাই এখন বঙ্গ-বিজেপি নেতাদের নতুন বায়না।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
এদিনই কলকাতা হাইকোর্টে জোড়া ধাক্কা খেয়েছে বিরোধীরা। প্রথমত, মনোনয়নে কারচুপির অভিযোগে উলুবেড়িয়া ১-এর বিডিওর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সেই নির্দেশের ওপর এদিন অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করল ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন একই সঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একজন পর্যবেক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্তও খারিজ হয়ে গিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। সবমিলিয়ে শুক্রবারের পর বেশ বেকায়দায় বিরোধী শিবির। এদিন আরও একটি মামলায় বিপুল সংখ্যায় মনোনয়ন প্রত্যাহার নিয়ে কমিশনের মত জানতে চেয়েছে আদালত। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে হলফনামা আকারে কমিশনকে তাঁদের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন-কংগ্রেস ও আপের মাঝে হস্তক্ষেপ নেত্রীর
ধাক্কা ১ : নির্বাচনে প্রার্থীদের নথি বিকৃত করার অভিযোগে উলুবেড়িয়া ১-এর বিডিওর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার। শুক্রবার ওই নির্দেশের ওপর অন্তবর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অপূর্ব রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। শুক্রবার এই মামলার শুনানি শেষ হলেও রায়দান হবে সোমবার। ততদিন পর্যন্ত বহাল থাকবে এই স্থগিতাদেশ।
আরও পড়ুন-রক্ত যাক, দেশের জন্যে লড়ব: বৈঠকের পর বার্তা তৃণমূল নেত্রীর
ধাক্কা ২ : নির্বাচন কমিশনের আবেদনে সিলমোহর দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পর্যবেক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য গত ১২ জুন আলাদা করে একজন পর্যবেক্ষক নিয়োগের ঘোষণা করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। নির্বাচন কমিশনের কাজে নজরদারি করার লক্ষ্যেই এই পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এই অভিযোগ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পর্যবেক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেন।