প্রতিবেদন : ২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতা দখল করার পর থেকে মোদি সরকার ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ নিয়ে অনেক ঢাকঢোল পিটিয়েছে। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, মোদির ডিজিটাল ইন্ডিয়া নিতান্তই অন্তঃসারশূন্য একটি বিষয়। বরং মোদির ডিজিটাল ইন্ডিয়ায় নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য এবং গোপনীয়তার মূল্য চোকাতে হয়েছে।
আরও পড়ুন-স্পিকারের নির্দেশে সঙ্কটে শিন্ডে
প্রকৃত ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ শুধুমাত্র পরিকাঠামো এবং স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা নিয়ে হতে পারে না। এখনও পর্যন্ত মোদি সরকারের কাছে ডিজিটাল অর্থনীতির কোনও রোডম্যাপই নেই। ডিজিটাল ভারত এবং ডিজিটাল অর্থনীতির ওপর জোর দিলেও, এখনও পর্যন্ত সরকারের কাছে তার কোনও সঠিক তথ্যভাণ্ডার নেই। ডিজিটাল অর্থনীতিকে এখনও পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক করে তুলতেও ব্যর্থ মোদি সরকার। বিষয়টি নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনার চাপে তাই এবার ডিজিটাল অর্থনীতির প্রভাব পরিমাপের সঙ্গে সঙ্গে ২০২৩-২৪ থেকে ২০২৯-৩০ আর্থিক বছর পর্যন্ত ডিজিটাল অর্থনীতি নিয়ে রোডম্যাপও তৈরি করতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন-হচ্ছেটা কী! জুতো চাটানো হল যুবককে, সেই মধ্যপ্রদেশ
২০২৪ কে মাথায় রেখে নতুন অর্থবর্ষের আগেই ডিজিটাল অর্থনীতিতে লেনদেনের অনুমান এবং পরিমাপের পরিসংখ্যান সংগ্রহ করা হবে। তবে এই প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল ই-কমার্স সংস্থাগুলি। তাই এবার ডিজিটাল মাধ্যমে ই-কমার্স সংস্থাগুলির লেনদেন খতিয়ে দেখা হবে এবং তা তথ্য ভাণ্ডারে যোগ করা হবে। কারণ বর্তমানে ডিজিটাল অর্থনীতির সঙ্গে জড়িত ই-কমার্স সংস্থাগুলি এই সংক্রান্ত কোনও রিপোর্ট দেয় না। এমনকী, তাদের নিজেদের সংগ্রহেও তথ্য রাখে না।