প্রতিবেদন : কেন্দ্রীয় বাজেটে ঢাকঢোল পিটিয়ে আইসিডিএস কর্মীদের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আওতায় আনার কথা ঘোষণা করেছে মোদি সরকার। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের বেঁধে দেওয়া নিয়মের কারণেই ওই প্রকল্পের আওতায় আসতে পারছেন না আইসিডিএস কর্মীরা। কেন্দ্রের এই ঘোষণা আসলে আগাগোড়া ভাঁওতাবাজি। বিধানসভায় এই অভিযোগ আনলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। শনিবার বিধানসভায় অতিরিক্ত ব্যয়মঞ্জুরি প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি কেন্দ্র ও রাজ্য বাজেটের তুলনা টানেন।
আরও পড়ুন-সরকারি স্বীকৃতি তৃতীয় লিঙ্গের শিল্পীদের দিয়েছে প্রতিষ্ঠা
সেখানে আয়ুষ্মান প্রকল্পের এই সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট ফোন থাকলে কেন্দ্রের আয়ুষ্মান প্রকল্পের সুযোগ পাওয়া যায় না। আবার প্রকল্পের কাজ সুচারুভাবে পরিচালনা করার জন্য কেন্দ্রের কথাতেই আইসিডিএস কর্মীদের স্মার্ট ফোন ব্যবহার করতে হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই স্ববিরোধী নীতির ফলে আইসিডিএস কর্মীরা আয়ুষ্মান প্রকল্পের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ফলে অনেক বিজেপি শাসিত রাজ্যও তাদের জন্য আলাদা প্রকল্প তৈরির পথে হাঁটছে। তিনি বলেন, যে কথা ২০১৬ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভেবেছিলেন। এখন বাধ্য হয়ে সবাইকে সেই পথে হাঁটতে হচ্ছে। উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুযোগ এ-রাজ্যের আইসিডিএস কর্মীরা পান। সে-কারণে কেন্দ্রের আয়ুষ্মান প্রকল্প নিতে আগেই অস্বীকার করেছে রাজ্য।
আরও পড়ুন-দিল্লি বিধানসভায় আস্থাভোটে জয় কেজরিওয়ালের
এদিকে বিরোধীদের সমালোচনা জবাব দিয়ে অর্থমন্ত্রী জানান, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের হাতে নগদ জোগান বাড়ানো সম্ভব হয়েছে। সে-কারণে রাজ্যের অভ্যন্তরীণ গড় উৎপাদনও চারগুণের বেশি বাড়ানো সম্ভব হয়েছে। অন্যদিকে অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার কারণে রাজস্ব আদায় বেড়েছে ১০ গুণ। পঞ্চদশ অর্থ কমিশন রাজ্যের ঋণ নেওয়ার সীমা গড় অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ভিত্তিতে আরও ০.৫ শতাংশ বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছে। অর্থমন্ত্রী জানান, আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় না রাখলে কখনওই তারা এই অনুমোদন দিত না। তাঁর বক্তব্য, রাজ্য নিজেদের পরিধির মধ্যে থেকেই ঋণ দিচ্ছে। বিরোধীদের জবাব দিয়ে মন্ত্রী বলেন, রাজ্য শুধু আবগারি শুল্কের ওপর ভিত্তি করে রাজস্ব আদায় বাড়াচ্ছে একথাও ঠিক নয়। উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটকের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্য এমনকী পাঞ্জাবেও এ-রাজ্য থেকে আবগারি শুল্কের পরিমাণ অনেক বেশি বলে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন।