প্রতিবেদন: দেশের বিমাক্ষেত্রে (Insurance sector) ১০০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগ চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের পরামর্শপত্রে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে বিমাখাতে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) সীমা ৭৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর আগে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিমাখাতে এফডিআই সীমা ৪৯ শতাংশ থেকে ৭৪ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে যে বিমা সংক্রান্ত আইনগুলির কিছু ধারায় সংশোধনী আনার প্রস্তাব নাগরিকদের জন্য বিমাকে সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী করবে। পাশাপাশি বিমাশিল্পের প্রসার ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এবং ব্যবসায়িক প্রক্রিয়াগুলিকে সহজতর করা সরকারের লক্ষ্য।
আরও পড়ুন-সর্পাঘাতের তথ্য জানতে সব রাজ্যকে চিঠি দিল কেন্দ্র
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের ২৬ নভেম্বর তারিখের একটি অফিস মেমোরান্ডামে দাবি করা হয়েছে, বিমাখাতে পরিচালনাকারী আইনগত কাঠামোর একটি বিস্তৃত পর্যালোচনা বিমা নিয়ন্ত্রক ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আইআরডিএআই) এবং শিল্পের সঙ্গে আলোচনা করে সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রস্তাবটিতে ভারতীয় বিমা সংস্থাগুলিতে এফডিআই সীমা ৭৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০০ শতাংশ করার এবং কোনও বিমা সংস্থাকে এক বা একাধিক শ্রেণির বিমা ব্যবসা চালানোর পাশাপাশি বিমার সঙ্গে সম্পর্কিত বা পরোক্ষ কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বিদেশি বিমা সংস্থাগুলির জন্য প্রয়োজনীয় নেট মালিকানাধীন তহবিল ৫,০০০ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ১,০০০ কোটি টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি, আইআরডিএআই -কে বিশেষ ক্ষেত্রে উপেক্ষিত বা অনাবৃত খাতগুলির জন্য নিম্ন প্রবেশ মূলধন (৫০ কোটি টাকার কম নয়) নির্ধারণের ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ভারতের বিমা নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইআরডিএআই-এর চেয়ারম্যান দেবাশিস পাণ্ডা চলতি মাসের শুরুর দিকে বিমা খাতে ১০০ শতাংশ সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের পক্ষে মত প্রকাশ করেছিলেন। তিনি ২০৪৭ সালের মধ্যে সকলের জন্য বিমা ভিশন পূরণের জন্য উল্লেখযোগ্য মূলধনের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন। বর্তমানে দেশে ২৫টি জীবনবিমা সংস্থা রয়েছে, যার মধ্যে রাষ্ট্র পরিচালিত ভারতীয় জীবনবিমা কর্পোরেশন (এলআইসি) অন্তর্ভুক্ত, এবং ৩৪টি সাধারণ বিমা সংস্থা কার্যরত।